আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজায় বৃহস্পতিবার ১০ টনেরও বেশি চিকিৎসা সরঞ্জামবাহী বিমান এবং ভাসমান হাসপাতাল পাঠাবে ফ্রান্স। এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো ইউরোপের কোনো দেশ গাজায় ভাসমান হাসপাতাল পাঠাচ্ছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে জানানো হয়েছে, ৪০ শয্যা বিশিষ্ট ফ্রেঞ্চ নৌ বাহিনীর বিমান বহনকারী জাহাজ ‘ডিক্সমুড’ কয়েক দিনের মধ্যেই মিশরে পৌঁছে যাবে। এছাড়াও গাজা থেকে অসুস্থ বা আহত শিশুদের সরিয়ে নেয়ার জন্য ফ্রান্সের বেসামরিক ও সামরিক বিমান ব্যবহার করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এক্স মাধ্য়মের একটি পোস্টে বলেছেন, ‘৫০টি প্য়ালেস্তাইনি শিশুকে ফ্রান্সের হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা দেয়ার জন্য তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।’
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসে গাজা থেকে ইজরায়েলের উপর হওয়া হামাস গোষ্ঠীর রকেট হামলায় নিহত প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। হামাস গোষ্ঠী পণবন্দি করে ২০০ জনের বেশি ইজরায়েলিকে। তার বদলায় ক্রমাগত গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। বোমা বর্ষণের তীব্রতায় ইতিমধ্য়েই ভয়াবহ পরিস্থিতি প্য়ালেস্তাইনের গাজার। বন্ধ খাবারের সরবরাহ। অভুক্ত হাজার হাজার শিশু। সাথে বেড়ে চলেছে মৃত্য়ু মিছিল। দেড় মাস পার হয়ে গেলেও গাজায় এখনও থামছে না ইজরায়েলি আগ্রাসন। এখনও পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৩ হাজারে। যার অধিকাংশই শিশু এবং নারী। বোমাবর্ষণের পাশাপাশি খাদ্য, পানীয় জল, জ্বালানি এবং ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার। এ পরিস্থিতিতে বিমান হামলাসহ জ্বালানি ও ওষুধ সংকটে গাজার হাসপাতালগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে গাজাবাসীর দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়েছিল ইতালি। এবার ফ্রান্সও তার সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।