মুক্তিযুদ্ধের অস্ত্র বিক্রির উপরে নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টের
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যে সমস্ত অস্ত্র হাতে তুলে রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা, সেই অস্ত্র বিক্রির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করল হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার এক জনস্বার্থ মামলার শুনানির সময়ে এক নির্দেশে জানিয়ে দিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র হস্তান্তর ও বিক্রি করা যাবে না। সেইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রগুলো জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে সংরক্ষণে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়ে সরকারের জবাবও তলব করেছেন বিচারপতিরা।
গত ৫ আক্টোবর দেশের এক দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত হয়েছে, এমন ২৭ হাজার অস্ত্র সরকার বিক্রি করে দিতে চাইছে। প্রশাসনের যুক্তি হচ্ছে ৫০ বছর আগে ব্যবহৃত অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রগুলি পুরনো, অপ্রচলিত এবং যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে অকার্যকর। ফলে ফেলে রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত প্রাচীন নিদর্শন বা স্মৃতিচিহ্ন (অ্যান্টিক সুভ্যেনির) হিসেবে অস্ত্রগুলি কিনে নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ও সুইজারল্যান্ডের একটি অস্ত্র আমদানিকারক সংস্থা।’
ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পরেই আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির উপরে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ১৫ নভেম্বর হাইকোর্টে ওই মামলা দায়ের করা হয়। এদিন মামলার শুনানিতে মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র বিক্রির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আগামী ছয় মাসের মধ্যে একটি রিপোর্ট চেয়েছেন বিচারপতিরা। একই সঙ্গে রুলও জারি করেছেন। ওই রুলে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহার করা অস্ত্র বিক্রি/আগ্নেয়াস্ত্র স্থানান্তর কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অবিলম্বে ওইসব অস্ত্র সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের মতো করেই আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করেছিলেন। ভারত সহ বিভিন্ন দেশ থেকে নানাভাবে অস্ত্র সংগ্রহ করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন যুদ্ধে। পরে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে বাংলাদেশের স্থপতি তথা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ওই অস্ত্র প্রশাসনের কাছে জমা দেন মুক্তিযোদ্ধারা। ২৭ হাজার ৬৬২টি অস্ত্র জমা পড়ে। ২০১৬ সাল থেকেই অস্ত্রগুলি বিক্রির চেষ্টা চলছে।
যে ২৭ হাজার ৬৬২টি অস্ত্র জমা পড়েছে, তার মধ্যে রয়েছে, ব্রিটেনে তৈরি ০.৩০৩ রাইফেল নম্বর-৪ এমকে-১, ৯ এমএম স্টেন এসএমজি এমকে-২ ও সিএম ৯ এমএম স্টেন এ১, ভারতে তৈরি ৭.৬২ এমএম এসটিআর এল১ এ১ /১ এ ১ ও রাইফেল জি-৩, পাকিস্তানে তৈরি ৪৪ এমএম হ্যান্ড লঞ্চার এম-৫৭, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জাপানে তৈরি পিস্তল ও রিভলবার ৭০০ এবং জার্মানি/যুক্তরাজ্য/ভারতে তৈরি এলএমজি এইচকে ১১ এ১ সিএএল ৭.৬২।
গত ৫ আক্টোবর দেশের এক দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত হয়েছে, এমন ২৭ হাজার অস্ত্র সরকার বিক্রি করে দিতে চাইছে। প্রশাসনের যুক্তি হচ্ছে ৫০ বছর আগে ব্যবহৃত অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রগুলি পুরনো, অপ্রচলিত এবং যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে অকার্যকর। ফলে ফেলে রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত প্রাচীন নিদর্শন বা স্মৃতিচিহ্ন (অ্যান্টিক সুভ্যেনির) হিসেবে অস্ত্রগুলি কিনে নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ও সুইজারল্যান্ডের একটি অস্ত্র আমদানিকারক সংস্থা।’
ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পরেই আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির উপরে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ১৫ নভেম্বর হাইকোর্টে ওই মামলা দায়ের করা হয়। এদিন মামলার শুনানিতে মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র বিক্রির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আগামী ছয় মাসের মধ্যে একটি রিপোর্ট চেয়েছেন বিচারপতিরা। একই সঙ্গে রুলও জারি করেছেন। ওই রুলে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহার করা অস্ত্র বিক্রি/আগ্নেয়াস্ত্র স্থানান্তর কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অবিলম্বে ওইসব অস্ত্র সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের মতো করেই আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করেছিলেন। ভারত সহ বিভিন্ন দেশ থেকে নানাভাবে অস্ত্র সংগ্রহ করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন যুদ্ধে। পরে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে বাংলাদেশের স্থপতি তথা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ওই অস্ত্র প্রশাসনের কাছে জমা দেন মুক্তিযোদ্ধারা। ২৭ হাজার ৬৬২টি অস্ত্র জমা পড়ে। ২০১৬ সাল থেকেই অস্ত্রগুলি বিক্রির চেষ্টা চলছে।
যে ২৭ হাজার ৬৬২টি অস্ত্র জমা পড়েছে, তার মধ্যে রয়েছে, ব্রিটেনে তৈরি ০.৩০৩ রাইফেল নম্বর-৪ এমকে-১, ৯ এমএম স্টেন এসএমজি এমকে-২ ও সিএম ৯ এমএম স্টেন এ১, ভারতে তৈরি ৭.৬২ এমএম এসটিআর এল১ এ১ /১ এ ১ ও রাইফেল জি-৩, পাকিস্তানে তৈরি ৪৪ এমএম হ্যান্ড লঞ্চার এম-৫৭, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জাপানে তৈরি পিস্তল ও রিভলবার ৭০০ এবং জার্মানি/যুক্তরাজ্য/ভারতে তৈরি এলএমজি এইচকে ১১ এ১ সিএএল ৭.৬২।
More News:
23rd January 2021
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন কিংবদন্তি সাংবাদিক ল্যারি কিং
23rd January 2021
23rd January 2021
ক্যাপিটালে আক্রান্ত ২০০ ন্যাশনাল গার্ড, ক্ষমাপ্রার্থী বাইডেন
23rd January 2021
23rd January 2021
22nd January 2021
22nd January 2021
রাশিয়ার সঙ্গে পারমানবিক অস্ত্র চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি চান বাইডেন
21st January 2021
21st January 2021
21st January 2021
Leave A Comment