নিজস্ব প্রতিনিধি: গত শুক্রবার লেবাননের বৈরুতে ইজরায়েলের আত্মঘাতী বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। প্রায় ছয়টি ভবন ধসে পড়ে যায়। ইজরায়েলের হামলা চালানোর একটাই লক্ষ্য, হিজাবুল্লাহ গোষ্ঠীকে শেষ করা। প্রায় ৬০০ টি রকেট হামলায় ছয়টি ভবন ধসে গিয়ে অসংখ্য মানুষ মারা গিয়েছেন। ইজরায়েল-হামাস দ্বন্দে এখন গাজার ওপর থেকে নজর সরিয়ে লেবানন কে টার্গেট করেছে ইজরায়েল। গত শুক্রবার ইজরায়েলের হামলায় হিজাবুল্লাহর প্রধানের মৃত্যুর খবরটি গোটা বিশ্বকে হতবাক করেছে। যদিও প্রথমে হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়নি।পরে ইজরায়েল দাবী করে যে, তাঁদের হামলায় মারা গিয়েছেন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। এরপরেই হিজবুল্লাহর গোষ্ঠীর তরফ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে নাসরুল্লাহর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করা হয়। যদিও তাঁদের এমন ক্ষতি বরদাস্ত করবে না হিজবুল্লাহ বাহিনী। তাঁরাও ইজরায়েলের ওপর ভয়াবহ হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এমতাবস্থায় উঠে আরও একটি বিরাট খবর।

শুক্রবারের ভোরে ইজরায়েলের হামলায় শুধু হিজবুল্লাহর প্রধানের মৃত্যু হয়নি। হিজবুল্লাহর আরও এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে রবিবার ইজরায়েল জানিয়েছেন। ইজরায়েল বাহিনী রবিবার নিশ্চিত করেছে যে, তারা হিজবুল্লাহর আরও এক সিনিয়র নেতা আলী কারাকি কে হত্যা করেছেন। যদিও ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী আগেই জানিয়েছিল যে, বৈরুতে তাঁদের বিমান হামলায় কারাকিও নিহত হয়েছে। গত শুক্রবার একটি ভূগর্ভস্থ কম্পাউন্ডকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইজরায়েল, যেখানে নাসরুল্লাহ এবং হিজবুল্লাহর অন্যান্য সিনিয়র ব্যক্তিরা বৈঠক করছিলেন। এর আগে হিজবুল্লাহর পেজার এবং ওয়াকি-টকিতে অত্যাধুনিক আক্রমণ চালিয়েছিল ইজরায়েল। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুসারে, লেবাননের বড় অংশ জুড়ে ইজরায়েলি বিমান হামলার একটি তরঙ্গে কমপক্ষে ১,০৩০ জন নিহত হয়েছে। যার মধ্যে ১৫৬ জন মহিলা এবং ৮৭ জন শিশু রয়েছে। ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী রবিবার বলেছে যে, তারা একটি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর আরও একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে।

যখন লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠীটি ধ্বংসাত্মক আঘাতের একটি স্ট্রিং এবং সামগ্রিক নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার হাত থেকে রক্ষা করছিল। হিজবুল্লাহর কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের উপপ্রধান নাবিল কাউক শনিবার নিহত হয়েছেন। যদিও হিজবুল্লাহর তরফ থেকে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি, এবং কোথায় ধর্মঘট হয়েছিল তা জানা যায়নি। নিশ্চিত হলে, তিনি হবেন সপ্তম জ্যেষ্ঠ হিজবুল্লাহ নেতা যিনি ইজরায়েলি হামলায় এক সপ্তাহের মধ্যে নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা যারা কয়েক দশক ধরে মৃত্যু বা আটক এড়িয়ে গেছেন। রবিবার পরে বৈরুতে আরেকটি হামলা ছালানোর ফন্দি এঁটেছে হিজবুল্লাহ। সর্বশেষ হামলায় লেবাননে লাখ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত হয়েছে।