আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমেরিকা সফরকালেই দিল্লিকে ধাক্কা দিল ওয়াশিংটন। হোয়াইট হাউস জানিয়ে দিল, আউকুশ জোটে (ব্রিটেন-আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়ার ত্রিপাক্ষিক জোট) ভারতকে রাখা হচ্ছে না। জোট তিন দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
মার্কিন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে গিয়ে জেন সাকি বলেছেন, চুক্তি ঘোষণার সময় খুব স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয় তিনটি দেশ (ব্রিটেন-আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়া) ভারত মহাসাগর ও প্রশাসন্ত মহাসাগরীয় রাজনীতিতে কাজ করবে। তাই, এই তিনদেশের সঙ্গে অন্য কোনও দেশকে অন্তর্ভুক্তি করা সম্ভব হচ্ছে না।
আন্তর্জাতিক মহলের একাংশ এর জন্য সাউথ ব্লকের কূটনৈতিক ব্যর্থতাকে দায়ী করছে। তাদের মতে, ওয়াশিংটন-দিল্লির সম্পর্ক এখন অন্য মাত্রায় পৌঁছেছে। সেই অবস্থায় দাড়িয়ে ভারতকে বাদ দিয়ে আমেরিকার জোট গঠন ‘বিপর্যয়ের’ সামিল। এই সিদ্ধান্ত দিল্লির জন্য বিপর্যয়ের সমান হলেও চিন বেজায় চটেছে।
আন্তর্জাতিক মহলের একাংশ মনে করছে, এই চুক্তির ফলে দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের দাপাদাপি আর চলবে না। ওয়াশিংটন বলছে, শান্তি ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেই এই জোট। দাবি উডিয়ে বেজিং পাল্টা বলেছে, এই চুক্তির ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি বিঘ্নিত হবে।
শুধু চিন নয়, চুক্তির বিরোধিতা করেছে আমেরিকার মিত্র দেশ ফ্রান্সও। তারা বলছে, পিছন থেকে ছুরি মারা হয়েছে। আর ফ্রান্সের গোঁসা হওয়ার খবর পেয়েছে ওয়াশিংটন। সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই জোটের দৌলতে অস্ট্রেলিয়া নতুন করে হাতে পেতে চলেছে পরমাণু অস্ত্রবহনকারী ডুবোজাহাজ।