দল থেকে বহিষ্কৃত নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি
Share Link:

নিজস্ব প্রতিনিধি, কাঠমান্ডু: অবশেষে জল্পনাই সত্যি হল। নেপালের শাসকদল নেপাল কমিউনিষ্ট পার্টি থেকে বহিষ্কৃত হলেন ‘তদারকি’ প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। রবিবার নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে এক বিবৃতি জারি করে ওলিকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে দেশের তদারকি প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলিকে দল থেকে বহিষ্কার করার পাশাপাশি তাঁর প্রাথমিক সদস্যপদ প্রত্যাহার করা হয়েছে।’ যদিও দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি নেপালের তদারকি প্রধানমন্ত্রী।
গত কয়েক মাস ধরেই নেপাল কমিউনিস্ট পার্টিতে প্রধানমন্ত্রী ওলি বনাম প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকুমার দহলের মধ্যে লড়াই তুঙ্গে উঠেছিল। আচমকাই সংসদ ভেঙে দিয়ে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটিয়েছিলেন নেপালের তদারকি প্রধানমন্ত্রী। দুই নেতার লড়াইয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাধবকুমার নেপাল, ঝালানাথ খানাল সহ নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির অধিকাংশ প্রবীণ নেতাই দহালের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। দলের মধ্যে ক্রমশই কোনঠাসা হয়ে পড়ছিলেন ওলি। এমনকী কিছুদিন আগে তাঁকে দলের চেয়ারম্যানের পদ থেকেও সরানো হয়েছিল। তখনই দলের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছিল, স্বেচ্ছায় সরে না দাঁড়ালে চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে ওলিকে।
যদিও সতীর্থ তথা দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডের সেই হুঁশিয়ারিকে খুব একটা পাত্তাই দেননি নেপালের তদারকি প্রধানমন্ত্রী। বরং নিজের কুর্সি রক্ষায় কখনও ভারত আবার কখনও চিনের শাসকদের দরবারে তদ্বির করতে শুরু করেছিলেন। কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হয়েও ওলির এমতা ক্ষমতালোভী হয়ে পড়াকে কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা। এদিন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে অধিকাংশ সদস্যই ওলিকে দল থেকে বহিষ্কারের প্রস্তাবে সায় দেন। এনসিপির প্রবীণ নেতা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপাল সাংবাদিকদের জানান, ‘একাধিকবার দলীয় অনুশাসন ভেঙেছেন ওলি। শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য তাঁর কাছে জবাব চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি কোনও জবাব দেননি। ফলে দল থেকে ওলিকে বহিষ্কার করা ছাড়া আর কোনও বিকল্প ছিল না।’
গত কয়েক মাস ধরেই নেপাল কমিউনিস্ট পার্টিতে প্রধানমন্ত্রী ওলি বনাম প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকুমার দহলের মধ্যে লড়াই তুঙ্গে উঠেছিল। আচমকাই সংসদ ভেঙে দিয়ে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটিয়েছিলেন নেপালের তদারকি প্রধানমন্ত্রী। দুই নেতার লড়াইয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাধবকুমার নেপাল, ঝালানাথ খানাল সহ নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির অধিকাংশ প্রবীণ নেতাই দহালের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। দলের মধ্যে ক্রমশই কোনঠাসা হয়ে পড়ছিলেন ওলি। এমনকী কিছুদিন আগে তাঁকে দলের চেয়ারম্যানের পদ থেকেও সরানো হয়েছিল। তখনই দলের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছিল, স্বেচ্ছায় সরে না দাঁড়ালে চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে ওলিকে।
যদিও সতীর্থ তথা দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডের সেই হুঁশিয়ারিকে খুব একটা পাত্তাই দেননি নেপালের তদারকি প্রধানমন্ত্রী। বরং নিজের কুর্সি রক্ষায় কখনও ভারত আবার কখনও চিনের শাসকদের দরবারে তদ্বির করতে শুরু করেছিলেন। কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হয়েও ওলির এমতা ক্ষমতালোভী হয়ে পড়াকে কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা। এদিন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে অধিকাংশ সদস্যই ওলিকে দল থেকে বহিষ্কারের প্রস্তাবে সায় দেন। এনসিপির প্রবীণ নেতা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপাল সাংবাদিকদের জানান, ‘একাধিকবার দলীয় অনুশাসন ভেঙেছেন ওলি। শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য তাঁর কাছে জবাব চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি কোনও জবাব দেননি। ফলে দল থেকে ওলিকে বহিষ্কার করা ছাড়া আর কোনও বিকল্প ছিল না।’
More News:
26th February 2021
25th February 2021
24th February 2021
23rd February 2021
23rd February 2021
22nd February 2021
22nd February 2021
22nd February 2021
21st February 2021
মাঝ আকাশে ইঞ্জিনে ভয়াবহ আগুন, ২০০ যাত্রীর প্রান বাঁচালেন পাইলট
20th February 2021
Leave A Comment