আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় ক্ষুব্ধ আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। তারা জাতিসঙ্ঘকে জরুরি বৈঠক ডাকার আর্জি জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তিন রাষ্ট্রের প্রস্তাব মেনে জাতিসঙ্ঘ বৈঠকে বসতে চলেছে। অন্যদিকে, জাতিসঙ্ঘের এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো চটেছে পিয়ংইয়ং।
পিয়ংইয়ং বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অধিকার তাদের রয়েছে। এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য এটা নয় যে কোরিয়া (ডেমোক্র্য়াটিক রিপাব্লিক অফ কোরিয়া, সংক্ষেপে ডিপিআরকে) একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, তা বিশ্ববাসীর সামনে প্রমাণ করা।
সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের আন্তর্জাতিক বিষয়ক দফতরের ডিরেক্টর জো চল সু জানিয়েছেন, ‘উত্তর কোরিয়া একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। তাই, স্বাধীন রাষ্ট্র হওয়ার দৌলতে সার্বভৌমত্ব রক্ষার অধিকার তার রয়েছে। আর সেই সার্বভৌমত্ব রক্ষার অঙ্গ হিসেবেই উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে।’ জাতিসঙ্ঘের জরুরি অধিবেশন ডাকার তীব্র প্রতিবাদ করেছে উত্তর কোরিয়ার সরকারি প্রচারমাধ্যম কেসিএনএ।
পিয়ং ইয়ং এর আগেও আন্তর্জাতিক নিষেধ উড়িয়ে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে। যার জেরে পিয়ং ইয়ংয়ের ওপর আমেরিকা ও তার মিত্রদেশগুলি আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে। জাতিসঙ্ঘের তরফ থেকে পিয়ংইয়ংকে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অস্বীকার করে পিয়ং ইয়ং একাধিকবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়। গত শুক্রবার আরও এক দফা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে পিয়ং ইয়ং। আর তাদের এই পরীক্ষায় রীতিমতো অসন্তুষ্ট আমেরিকা ও তার মিত্র রাষ্ট্র। অসন্তুষ্ট জাতিসঙ্ঘ। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, নিজেদের ক্ষমতা জাহির করতেই পিয়ংইয়ং অতীতেও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। আগামীদিনেও তারা এই ধরনের পরীক্ষা চালিয়ে যাবে।