নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি-সহ প্রায় ৬০০ পিটিআই নেতা-কর্মীর দেশত্যাগের ওপরে আগেই জারি হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। এবার প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি-সহ পিটিআইয়ের নয় নেতার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করল শাহবাজ শরিফ প্রশাসন। যদিও এ বিষয়ে পাকিস্তান বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৯ মে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেফতারের পরে রাওয়ালপিণ্ডি, পেশোয়ার, লাহোর সহ বিভিন্ন জায়গায় সেনানিবাসে হামলার ঘটনায় পরোক্ষে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগেই প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি-সহ নয় পিটিআই নেতার পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। তালিকায় থাকা বাকিরা হলেন, আওয়ান আব্বাস বাপ্পি, আসাদ উমর, পারভেজ খাট্টাক, ফাররুখ হাবিব, আল আমিন গন্দারপুর, আলি মুহাম্মদ খান, আযাম সোয়াতি ও জারতাজ গুল।
অন্যদিকে, শনিবারই প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি সহ তিন পিটিআই নেতার এমপিও আইনে গ্রেফতারকে বেআইনি আখ্যা দিয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। বিচারপতি মিয়ানগুল হাসান অওরঙ্গজেব জানিয়েছেন, ৯ মে দেশজুড়ে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে এমপিও আইনে তিন পিটিআই নেতার গ্রেফতারের কোনও যুক্তি নেই। অন্যদিকে, লাহোরে জামান পার্কে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানোর জন্য জারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আর্জি নিয়ে লাহোর সন্ত্রাস বিরোধী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। যদিও তাঁর আর্জির শুনানি হয়নি এদিন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, যেভাবে সেনাবাহিনী ও শাহবাজ শরিফ সরকার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে রাজনৈতিকভাবে শেষ করে দেওয়ার খেলায় নেমেছে তাতে নিম্ন আদালতে সুবিচার পাবেন না পিটিআই চেয়ারম্যান।