আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সালটা ২০১৫। এক সন্ত্রাসী হামলার সাক্ষী ছিল ছবি ও কবিতার দেশ প্যারিস (Paris)। এক রাতের হামলায় প্রাণ (died) হারান ১৩০জন। আহত হন বহু। হামলায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল বিশ্ব। হামলায় জড়িত জঙ্গিদের মধ্যে বেঁচে ছিল সালাহ আবদেসলাম (Salah Abdeslam )। প্যারিসের একটি আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও ১৯জনকে সশ্রম কারাবাসের সাজা দিয়েছ আদালত। যদিও এই ১৯জনের মধ্যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে (September) শুরু হয় শুনানি। বলা হচ্ছে, প্যারিসের ইতিহাসে এটাই সব চেয়ে বেশি সময় ধরে চলা মামলা। এই নয় মাসের শুনানিতে সাক্ষ্য দিয়েছে হামলায় হতাহতদের পরিবারের সদস্য, সাংবাদিক, প্রত্যদর্শী।
ঠিক মুম্বইয়ে (Mumbai) যে কায়দায় হামলা হয়েছিল, প্যারিসে ঠিক একই কায়দায় হামলা হয়। একসঙ্গে হামলা চলে, পানশালা, রেস্টুরেন্ট, ন্যাশনাল স্টেডিয়াম। ওই দিন রাতে ব্যাটাক্লানে চলছিল জলসা। সন্ত্রাসীরা সেই জলসায় ঢুকে হাতের সামনে যাকে পেয়েছে খুন করেছে। অনেকে প্রাণ বাঁচাতে জলসা থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। শেষ রক্ষা হয়নি।
আদালতে শুনানির সময় সালাহ আবদেসলাম (Salah Abdeslam )ছিল একেবারে নির্লিপ্ত। নিজেকে সন্ত্রাসী সংগঠনের বীর সৈনিক হিসেবে দাবি করে। শুনানির শুরুর দিকে সালাহ আবদেসলাম বিচারপতিদের চোখে চোখ রেখে জবাব দিয়ে গিয়েছে।পরবর্তীকালে জেরায় ধাক্কা সহ্য করতে না পেরে সে তাঁর কৃতকর্মের জন্য হতাহতদের পরিবারের কাছে নিঃশর্তে ক্ষমা চেয়ে নেয়।
আদালত তাঁকে যে শাস্তি দিয়েছে, সেখানে ৩০ বছর পর প্যারোলে ছাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।