28ºc, Haze
Friday, 1st July, 2022 9:58 pm
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বয়স মাত্র ২১ বছর। রাষ্ট্রপ্রধানের নির্দেশে যুদ্ধে গিয়েছিল ভাদিম সিসিমারিন। সিরিন রুশ সেনার একজন ট্যাঙ্ক কম্যান্ডার। ইউক্রেন সেনার হাতে কিছুদিন আগে ভাদিম ধরা পড়ে। কিয়েভের চোখে সে যুদ্ধপরাধী। হয় ফাঁসি, না হলে যাবজ্জীবন জেল। যাবজ্জীবন জেলের অর্থ, আর কোনওদিন সূর্যের আলো দেখা হবে না। রুশ সেনার অভিযানে যে সব বিবাহিত মহিলার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে, ভাদিম এখন তাদের কাছে হাতজোর করে প্রাণ ভিক্ষা চাইছে।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ভাদিম সিরিনের বন্দুকের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৬২ বছরের বৃদ্ধ ওলেকস্যান্ডার শেলিপভ। হামলা হয় গত ২৮ ফেব্রুয়ারির। হামলা চালিয়ে ভাদিম পালাতে ইউক্রেন সেনা তাকে ধরে ফেলে। তাঁর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে ইউক্রেনে শুরু হয় বিচার। বিচারে সে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। আদালতে অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। শেলিপভের স্ত্রী ক্যাটেরিনা শালিপোভার কাছে সে প্রাণ ভিক্ষার আর্জি জানিয়েছে। নিঃসঙ্গ ক্যাটেরিনার কাছে তাঁর কাতর অনুরোধ, ‘আমি অপরাধ করেছি। অপরাধের কথা স্বীকারও করেছি। আপনার কাছে ক্ষমা চাইছি। আমার পরিবারের কথা ভেবে আপনি আমায় ক্ষমা করে দিন।’
একা ভাদিম সিরিন নয়, তাঁর মতো আরও যেসব রুশ সেনা ইউক্রেনে ধরা পড়েছে, তারা প্রত্যেকে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইছে। প্রত্যেকের বার্তা মূল কথা একটাই-তারা নির্দোষ। তারা শুধু রাষ্ট্রের নির্দেশ পালন করেছে মাত্র। যেহেতু তারা সেনাকর্মী, তাই এই নির্দেশ কার্যকর করা ছাড়া দ্বিতীয় কোনও রাস্তা আর তাদের কাছে নেই।
আরও পড়ুন ইরাক আগ্রাসন ভুল হয়েছিল? এ কী বললেন জর্জ বুশ!