মেয়েদের ঋতুস্রাবকালীন প্রয়োজনীয় পণ্য বিনামূল্যে দেবে স্কটল্যান্ড
Share Link:

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইতিহাস গড়ল স্কটল্যান্ড সরকার। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে মেয়েদের ঋতুস্রাবকালীন প্রয়োজনীয় পণ্য বিনামূল্যে সরবরাহ করতে বিশেষ আইন পাশ করেছে। মঙ্গলবার দেশটির সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে ‘পিরিয়ড প্রোডাক্টস (ফ্রি প্রভিসন) বিল’ পাস হয়েছে। বিলটি উত্থাপন করেছিলেন সংসদ সদস্য মনিকা লেনন। যুগান্তকারী বিল পাশ হওয়ায় আনন্দ চেপে রাখতে পারেননি দেশটির মন্ত্রী নিকোলা স্টারজিওন। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘যুগান্তকারী আইনটির পক্ষে ভোট দিতে পেরে গর্ববোধ করছি।’ নয়া আইনের ফলে, এখন থেকে যদি কারও ঋতুস্রাবকালীন কোনও পণ্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে তিনি যাতে সেগুলি বিনামূল্যে ও সহজে সংগ্রহ করতে পারেন তা নিশ্চিত করবে স্থানীয় প্রশাসন।
২০১৬ সাল থেকেই দেশটিতে মেয়েদের ঋতুস্রাবকালীন প্রয়োজনীয় পণ্য (তুলো ও স্যানিটারি প্যাড) বিনামূল্যে সরবরাহের দাবি জানিয়ে আসছিল একাধিক নারী সংগঠন। তার কারণ স্কটল্যান্ডে মহিলারা ঋতুস্রাবকালীন পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। দেশের দুই হাজার মহিলাদের উপরে এক সমীক্ষা চালিয়েছিল ‘ইয়ং স্কট’ নামে এক সংস্থা। ওই সমীক্ষায় উঠে আসে, স্কটল্যান্ডের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ঋতুস্রাবকালীন প্রয়োজনীয় পণ্য পেতে চার জনের মধ্যে একজন চরম সমস্যায় পড়েন। ১০ শতাংশ মেয়ের ঋতুস্রাবকালীন প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার আর্থিক সামর্থ্য নেই। ১৫ শতাংশ মেয়েকে এসব পণ্য পেতে ভোগান্তি পোহাতে হয় এবং অস্বাভাবিক মূল্যের কারণে ১৯ শতাংশ উচ্চমানের পণ্য ব্যবহার করতে পারেন না। তাছাড়া ১৪ থেকে ২১ বছর বয়সী ৭১ শতাংশ মেয়ে ঋতুস্রাবকালীন প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বিব্রত বোধ করেন।
২০১৬ সাল থেকেই মেয়েদের ঋতুস্রাবকালীন পণ্য বিনামূল্যে সরবরাহের দাবিতে সরব হয়েছিলেন সংসদ সদস্য মনিকা লেনন। ‘পিরিয়ড পোভার্টি’ নামে এক আন্দোলনও গড়ে তুলেছেন। অবশেষে তাঁর স্বপ্নপূরণ হয়েছে। বিল পাশ হওয়ার পরে তিনি বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এই আইন পাশ করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। কারণ মহামারীর কারণে মেয়েদের ঋতুস্রাব থেমে থাকে না।’
স্কটল্যান্ড সরকারের এমন আইন পাশকে স্বাগত জানিয়েছেন সমাজবিজ্ঞানী ও গবেষকরাও। তাঁদের মতে, ‘নয়া আইনে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা। কেননা, ঋতুস্রাব মেয়েদের পড়াশোনার উপরে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। ঋতুস্রাবের সময় প্রায় অর্ধেক মেয়ে স্কুল-কলেজে আসতে পারে না।’
২০১৬ সাল থেকেই দেশটিতে মেয়েদের ঋতুস্রাবকালীন প্রয়োজনীয় পণ্য (তুলো ও স্যানিটারি প্যাড) বিনামূল্যে সরবরাহের দাবি জানিয়ে আসছিল একাধিক নারী সংগঠন। তার কারণ স্কটল্যান্ডে মহিলারা ঋতুস্রাবকালীন পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। দেশের দুই হাজার মহিলাদের উপরে এক সমীক্ষা চালিয়েছিল ‘ইয়ং স্কট’ নামে এক সংস্থা। ওই সমীক্ষায় উঠে আসে, স্কটল্যান্ডের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ঋতুস্রাবকালীন প্রয়োজনীয় পণ্য পেতে চার জনের মধ্যে একজন চরম সমস্যায় পড়েন। ১০ শতাংশ মেয়ের ঋতুস্রাবকালীন প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার আর্থিক সামর্থ্য নেই। ১৫ শতাংশ মেয়েকে এসব পণ্য পেতে ভোগান্তি পোহাতে হয় এবং অস্বাভাবিক মূল্যের কারণে ১৯ শতাংশ উচ্চমানের পণ্য ব্যবহার করতে পারেন না। তাছাড়া ১৪ থেকে ২১ বছর বয়সী ৭১ শতাংশ মেয়ে ঋতুস্রাবকালীন প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বিব্রত বোধ করেন।
২০১৬ সাল থেকেই মেয়েদের ঋতুস্রাবকালীন পণ্য বিনামূল্যে সরবরাহের দাবিতে সরব হয়েছিলেন সংসদ সদস্য মনিকা লেনন। ‘পিরিয়ড পোভার্টি’ নামে এক আন্দোলনও গড়ে তুলেছেন। অবশেষে তাঁর স্বপ্নপূরণ হয়েছে। বিল পাশ হওয়ার পরে তিনি বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এই আইন পাশ করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। কারণ মহামারীর কারণে মেয়েদের ঋতুস্রাব থেমে থাকে না।’
স্কটল্যান্ড সরকারের এমন আইন পাশকে স্বাগত জানিয়েছেন সমাজবিজ্ঞানী ও গবেষকরাও। তাঁদের মতে, ‘নয়া আইনে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা। কেননা, ঋতুস্রাব মেয়েদের পড়াশোনার উপরে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। ঋতুস্রাবের সময় প্রায় অর্ধেক মেয়ে স্কুল-কলেজে আসতে পারে না।’
More News:
24th January 2021
24th January 2021
24th January 2021
24th January 2021
23rd January 2021
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন কিংবদন্তি সাংবাদিক ল্যারি কিং
23rd January 2021
23rd January 2021
ক্যাপিটালে আক্রান্ত ২০০ ন্যাশনাল গার্ড, ক্ষমাপ্রার্থী বাইডেন
23rd January 2021
23rd January 2021
22nd January 2021
Leave A Comment