আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফের অশান্ত কাবুল। মহিলা বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে তালিবানরা শূন্যে গুলি চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীর বিবৃতি উদ্ধৃত করে এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, মেয়েদের স্কুলে পড়তে দেওয়ার দাবি তুলে একটি স্কুলের সামনে কয়েকজন মহিলা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। তাদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড-পোস্টার। সেখানে লেখা, মেয়েদের স্কুলে পড়তে দিতে হবে। স্কুল বন্ধ করা চলবে না। বন্ধ করাল যাবে না কলম। সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে
বিক্ষোভের খবর পেয়ে ওই স্কুলের সামনে জড়ো হয় তালিবান সমর্থকেরা। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে তারা বলপ্রয়োগ করে। ঘটনা ক্য়ামেরাবন্দি করছিলেন বেশ কয়েকজন সমর্থক। তালিবান সমর্থকের তাদের ওপর চড়াও হয়। বন্দুকের বাঁট দিয়ে তাদের আঘাত করে। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে তারা শূন্যে গুলি চালায়।
তালিবানের দাবি, বিক্ষোভকারীরা তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করে। অন্যান্য দেশের মতো আফগানিস্তানেও প্রতিবাদ-বিক্ষোভের অধিকার সবার রয়েছে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতা করেছে। এই প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচির কথা প্রশাসনকে আগে থেকে জানানো হয়নি।
আফগানিস্তান তালিবানদের হাতে তালুবন্দি হওয়ার পর দেশের নানা প্রান্ত থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচির খবর পাওয়া গিয়েছে। তালিবানরা চাইছে আফগানিস্তানে শরিয়তি আইন প্রতিষ্ঠা করতে। সে কারণে নানা প্রান্ত থেকে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। তালিবানরা জানিয়েছে, তারা নারী শিক্ষার বিরোধী নয়। কিন্তু স্কুলের পরিবেশ পঠন-পাঠনের উপযোগী নয়। পরিবেশ পঠন-পাঠের উপযোগী করে তুলতে সময় লাগবে। কিন্তু সংখ্য়াগরিষ্ঠ আফগানবাসী নিশ্চিত, তালিবানরা নারী শিক্ষার পরিপন্থী। মুখে যতই বলুক মেয়েদের শিক্ষার অধিকারের কথা, তারা মেয়েদের অন্ধকারেই রাখতে চায়।