আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রানওয়ে দিয়ে দৌড়তে প্রস্তুত পাইলট। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সবুজ সংকেতের অপেক্ষায়। এমন সময় পাইলট বিমানের সব আলো নিভে গেল। ফ্লাইট অ্যাটেন্ডডেন্ট জানিয়ে দিলেন, যাত্রীরা এখনই নামুন। যে কোনও সময় বিমানে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের মুখে এই কথা শুনে যাত্রীরা আতঙ্কে কাঁপতে শুরু করে। কথাতেই তো আছে, আপনি বাঁচলে বাপের নাম। কে কার আগে নামবে। নামলেই তো হল না, বিস্ফোরণের আগে টার্মিনালে প্রবেশ করতে হবে।
এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলের একটি এয়ারবাসে, গত শুক্রবার। বিমানের এক যাত্রী ওয়ান্ডার্সন কেম্পোস জানিয়েছেন, টেক ওফের কিছুক্ষণ আগে আচমকাই বিমানের আলো নিভে যায়। ফ্লাইট অ্যাটেন্ডটেন্ড আমাদের সকলকে বিমান থেকে দ্রুত নেমে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
কী বলেছেন ওয়ান্ডার্সন কেম্পোস?
সেখানকার একটি সংবাদসংস্থার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কেম্পোস বলেন, ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট চিল চিৎকার জুড়ে দেন। আমাদের বলেন, তাড়াতাড়ি বিমানের এমার্জেন্সি দরজা খুলে নেমে পড়ুন। যে কোনও সময় বিমানে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। শুরু হল ধাক্কাধাক্কি। আমার সঙ্গে ছিল আমার ছেলে, বউ। ছেলে খুব ছোটো। আমায় কষ্ট করে নামতে হয়নি। বাকি যাত্রীদের ধাক্কায় আমিও নেমে পড়ি। কপাল ভাল নামার সময় বড়ো কোনও দুর্ঘটনা হয়নি। কিন্তু নেমে দেখি বউ নেই। পড়লাম মহা ঝামেলায়। কী করে ঢুকব বিমানের ভিতরে। যে সিঁড়ি দিয়ে উঠব, সেই সিঁড়ি দিয়ে তখন মানুষ পড়ি-মরি করে নামছে। হাঁ করে দাঁড়িয়ে। কিছুক্ষণ বাদে দেখি আমার গিন্নি সিঁড়ি দিয়ে হাঁফাতে হাঁফাতে নামছে।