আন্তর্জাতিক ডেস্কঃমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের গণহত্যার প্রতিবাদে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ আন্দোলন। দেশটির একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-পড়ুয়ারা গাজায় অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়ে চলেছেন। আর সেই বিক্ষোভ দমাতে গিয়ে নির্যাতন-নিপীড়নের চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছে মার্কিন পুলিশ বাহিনী। গোটা বিশ্বকে মানবাধিকারের জ্ঞান বিতরণ করা আমেরিকার পুলিশ বিক্ষোভ দমাতে মহিলাদেরও রেয়াত করছে না। গ্রেফতারের নামে যৌন হেনস্থা চালাচ্ছে। সম্প্রতি এক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আর ওই ভিডিও ঘিরে পড়ে গিয়েছে শোরগোল।
ঘটনাটি ঘটেছে আটলান্টার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে।ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পড়ুয়ারা। সেই সময় বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে ঘিরে ধরে বেশ কয়েকজন পুলিশ। তখন পড়ুয়াদের রক্ষা করার চেষ্টা করেন অধ্যাপক ক্যারোলিন ফোহলিন। সেইসময় পুলিশ তাঁকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। তারপরেই অধ্যাপকের হাতে হাতকড়া পরিয়ে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ইতিমধ্যেই লস অ্যাঞ্জেলেস, বোস্টন এবং টেক্সাসের অস্টিনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে দুই শতাধিক মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কারণ একটাই ফিলিস্তিনিদের সমর্থন। অন্যদিকে গত ৭ ই অক্টোবর ইজরায়েলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ জনের মতো নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩২০ জনের মতো সেনা রয়েছেন। এই হামলার পরেই গাজার ওপর হামলা শুরু করে ইজরায়েল বাহিনী। ইজরায়েল এবং হামাস সংঘর্ষের জেরে গাজায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৪ হাজার । ইজরায়েলি হামলায় প্রাণ গাজায় প্রাণ হারিয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি শিশু। শুধু প্রাণ হারান নয় ইয়রায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন শতাধিক শিশু। একথায় ইজরায়েলি হামলায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গাজা।