আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার নতুন ভ্যরিয়েন্টের নাম রেখেছে Omicron। এই নাম সে পেল কোথা থেকে? কেন বাই রাখা হল এই নাম? এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক ওমিক্রনের ঠিকুজি-কুষ্ঠি।
গ্রিক বর্ণমালার পঞ্চদশ অক্ষর Omicron । মূল্যমান ৭০। বর্ণমালার সব থেকে বেশি ব্যবহৃত অক্ষর এই ওমিক্রন। অর্থাৎ বাকিদের থেকে এর দাপট সব থেকে বেশি। যেমন ইংরেজি বর্ণমালায় সব থেকে বেশি ব্যবহৃত বর্ণটি হল E.
Omicron-য়ের দাপট যে বেশি, তা, ইতোমধ্যেই প্রমাণিত। ভূমিষ্ঠ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শে তার ক্ষমতা দেখাতে শুরু করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ভ্যারিয়েন্টের বিপজ্জনক মিউটেশন ঘটেছে। প্রথম এই ভাইরাসের হদিশ মিলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। এবার সে কার্যত নির্বিবাদে হামলা চালাতে শুরু করেছে বেলজিয়াম, ইজরায়েল বৎসোয়ানায়। যদিও নতুন প্রজাতির উৎস নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। ভাইরোলজিস্টদের একাংশ মনে করছে, দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও এইচআইভি আক্রান্তের শরীরই সম্ভবত এই ভেরিয়েন্টের উৎস। অতীতে করোনার বিটা ভেরিয়েন্টও এক এইচআইভি রোগীর শরীরে প্রথম পাওয়া গিয়েছিল।যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আফ্রিকা অঞ্চলের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গোষ্ঠীর প্রধান হেলেন রিজেয়র অভিমত, করোনার নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপারে বিষদে কিছু জানা যায়নি। তাই, এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসাই বাঞ্ছনীয়।
জোহানাসের বার্গে আল জাজিরার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রিজ জানিয়েছেন, ‘মন্দের ভালো বলতে এই যে দ্রুত এই ভাইরাসের ব্যাপারে আমরা খুব তাড়াতাড়ি খবর পেয়েছি। কিন্তু এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে না আসার বাঞ্ছনীয়।’