আন্তর্জাতিক ডেস্ক, নেপাল:  ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নেপাল। নেপাল বলেছে যে তারা তাদের ভূমি প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে শত্রুপক্ষকে ব্যবহার করতে দেবে না। বৃহস্পতিবার নেপাল জানিয়েছে যে তারা এই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সেই সঙ্গে জোর দিয়ে বলেছে যে হিমালয় যে রাষ্ট্রের প্রতীক সেই রাষ্ট্রের মাটি প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে শত্রু পক্ষদের ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।

পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ স্বরূপ বুধবার ভারত পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) এবং পাঞ্জাব প্রদেশে নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করেন ভারতে পদাতিক, নৌ এবং বায়ু সেনা। তারপরই নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই মন্তব্য এসেছে। প্রসঙ্গত পহেলগাঁও হামলায় যে ২৫ জন পর্যটক মারা গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে একজন নেপালি নাগরিক ছিলেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির বিষয়ে নেপাল সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। পহেলগাঁওয়ে একজন নেপালি নাগরিকও প্রাণ হারিয়েছিলেন।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘সেই সময়ে নেপাল এবং ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছিল, শোক ভাগ করে নিয়েছিল। নেপাল অবিলম্বে দ্ব্যর্থহীনভাবে এই বর্বর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করছে। সেই সঙ্গে সকল ধরণের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাদের দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করছে।”

নেপাল পররাষ্ট্র মন্ত্রকের সংযোজন, “নেপাল তার প্রভাবশালী অবস্থান বজায় রেখে, কোনও শত্রু শক্তিকে তার মাটি প্রতিবেশী দেশগুলির বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেবে না।”

এদিকে, প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং নেপালি কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা বিমলেন্দ্র নিধি বলেছেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা ভারতের সঙ্গে আছি।’ ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করে ভারতের প্রশংসা করে নিধি বলেন, “সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সফল অপারেশন সিঁদুরের জন্য আমরা ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানাই।” তিন বাহিনীর এই মিসাইল আক্রমণকে ভারতের পক্ষ থেকে পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পর স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া বলে অভিহিত করেন।