নিজস্ব প্রতিনিধি:সিকিম বর্ডার সংলগ্ন এলাকায় কালিম্পংয়ের লাভা ব্লকের শেংশে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১৪জন নিখোঁজ।প্রায় ২০০০ পর্যটক আটকে আছে সিকিমে।রংপো তে আটকে থাকা পরিবারকে উদ্ধার করা গিয়েছে।শুধু সিকিম নয় , আমাদের কালিম্পং এর সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বলে জানান, রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা)জাভেদ শামিম(Javed Samim)। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেল পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের চারটি জেলা থেকে মোট ৬৫৭২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সিকিমে যে ২০০০ জন পর্যটক আটকে রয়েছে, তাদের উদ্ধারের জন্য পর্যটন দপ্তর থেকে একটি পৃথক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে ।
তাদের পরিবারবর্গের কাছে আপডেট সংবাদ পৌঁছানোর জন্য, পর্যটন দপ্তরের ডালহাউসি কন্ট্রোল রুমে নম্বর হলো … ১৮০০ ২১২১৬৫৫ ও ৯০৫ ১৮৮ ৮১৭১। দক্ষিণবঙ্গের পাঁচটি জেলা অর্থাৎ হাওড়া হুগলি পশ্চিম মেদিনীপুর পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া থেকে ৪৪৭৭ জনকে উদ্ধার করে বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে আনা হয়েছে। এনডিআরএফ এর পাঁচটি টিমের মধ্যে হাওড়ায় দুটি হুগলিতে দুটি পশ্চিম মেদিনীপুরে একটি টিমকে নামানো হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এসডিআরএফ টিম ও এই জেলাগুলিতে উদ্ধার কাজে নেমেছে। যে জেলাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত ও অতি বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেখানে স্বাস্থ্য দপ্তরকে সমস্ত রকম জরুরী ভিত্তিতে ঔষধপত্র নিয়ে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোধে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে বাংলায় অবিরাম নিম্নচাপের কারণে দক্ষিণবঙ্গ সহ ঝাড়খণ্ডে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মাইথন এবং পঞ্চায়েত ও দুর্গাপুর ডিভিসি (DVC)ব্যারেজ থেকে এবং মুকুট মণিপুরের জলাধার থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়া হয়েছে। ডিভিসি গত পরশু থেকে এক লক্ষ ৭০ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে।তিস্তায় লাল সতর্কতা জারি। তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করেছে সেচ দপ্তর। পাশাপাশি সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করে সেচ দপ্তর। বুধবার সকাল ১০ টায় জারি করে লাল সতর্কতা।আরও জলস্তর বৃদ্ধির সম্ভবনা।সিকিম(Sikkim) পাহাড়ে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে ভয়াবহ জলস্ফীতি তিস্তায়।তিস্তার দোমহনী থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করে সেচ দফতর। পাশাপাশি সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি।