নিজস্ব প্রতিনিধি: খিদের জ্বালায় কাঁদছিল ৫ বছরের শিশু। আর তা সহ্য করতে না পেরে তাকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল পিসেমশাইয়ের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে আরও এক তিন বছরের শিশু অভিযুক্তের মারে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সোনারপুর থানা এলাকার বেনেবউ গ্রামের লস্করপুরে। এই ঘটনায় তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম প্রসেনজিৎ মণ্ডল। অভিযুক্ত প্রসেজনজিতের স্ত্রী ও তার শ্যালকের স্ত্রী পরিচারিকার কাজ করেন। বিগত কয়েকদিন ধরে দুই শিশু আফসারা খাতুন এবং আলিয়া খাতুনকে তাদের পিসেমশাই নিজের কাছে রাখছিলেন। সোমবারও দুই শিশুর মা তাদেরকে প্রসেনজিৎ মণ্ডলের কাছে রেখে কলকাতায় পরিচারিকার কাজে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেদিন নেশাগ্রস্ত ছিল প্রসেনজিৎ। দুই বোন খিদে অনুভব করায় প্রসেনজিতের কাছে খাবার চাইছিল। কিন্তু প্রসেনজিৎ দুই শিশুকে খেতে দেয়নি। খাবার না পেয়ে কান্নাকাটি করছিল তারা। দুই বোনের কান্না দেখে আচমকাই আফসারা ও আলিয়াকে তুলে দেওয়ালে মাথা ঠুকে দেয় অভিযুক্ত। গুরুতর আঘাত হয় দুজনের। সেই সঙ্গে চলে ব্যাপক মারধার। এরপর দুই বোন খুব জোরে আর্তনাদ করলে, আফসারার গলা টিপে ধরে অভিযুক্ত। মৃত্যু হয় আফসারার।
অন্যদিকে ঘটনার শব্দ পেয়ে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। প্রসেনজিৎকে ঘটনার কথা জিজ্ঞাসা করলে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে চায়নি সে। এরপর দরজা খুলে দেখেন তারা ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছে আফসারার দেহ। আর পাশেই আহত অবস্থায় কাঁদছে আফসারার ছোট বোন আলিয়া। স্থানীয়রা সোনারপুর থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে আফসারা দেহ উদ্ধার করে। জখম শিশুকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে অভিযুক্ত পিসেমশাই প্রসেনজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।