এই মুহূর্তে




রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি(Flood Situation) নিয়ে যখন কেন্দ্র ও রাজ্যের টানাপোড়েন অব্যাহত ঠিক তখনই রাজ্যের(Bengal) বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court)। ভারতীয় আদিবাসী পার্টির তরফে সুশান্ত জানা মামলাটি দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাঁর আইনজীবী জানান, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলিতে বন্যার জল জমলেও তার নিয়ন্ত্রণে কোনও পরিকাঠামো নেই। দুর্গত মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করুক। মামলাটির দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন জানানো হয়। হাইকোর্ট জানিয়েছে, এই মামলার শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার হতে পারে। মামলাকারীর দাবি, রাজ্যজুড়ে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি৷ বীরভূম, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলিতে বানভাসি মানুষ৷ ঘরবাড়ি হারিয়েছেন বহুজন। সরকারের কোনও পরিকল্পনা নেই। মানুষ ত্রাণ পাচ্ছে না। রাজ্যের সক্রিয় ভূমিকার আর্জি জানিয়েই তাই মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আরও পড়ুন, আবাসের সমীক্ষার জন্য চলতি সপ্তাহেই আসছে নয়া গাইডলাইন

কলকাতা হাইকোর্টের তরফে জানা গিয়েছে, প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এই মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। আগামিকাল মামলাটির শুনানি হতে পারে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চে। মামলাকারী আবেদন, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি ও বীরভূমের বন্যাদুর্গত মানুষদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী ও ওষুধের ব্যবস্থা করুক প্রশাসন। যদিও নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বন্যার জন্য রাজ্য সরকার বিন্দুমাত্র দায়ী নয়। ডিভিসি(DVC) থেকে অপরিকল্পিত ভাবে লক্ষ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার জন্যই এই বন্যা হয়েছে। রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে, রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই জল ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে রাজ্য সরকারও ডিভিসি থেকে রাজ্যের দুইজন প্রতিনিধিকে সরিয়ে নিয়েছে। এই বিষয়টি আগামিকাল মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে তুলে ধরা হবে। সেই সঙ্গে বন্যা দুর্গতদের জন্য রাজ্য সরকার কী কী করেছে বা করছে, কাকে কীরকম ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে, কোথায় কোথায় ত্রাণ শিবির চালানো হচ্ছে, এই সব কিছু বিষদে তুলে ধরা হবে। এমনকি বন্যায় যে সব বাড়ি ভেঙে গিয়েছে তা যে রাজ্য সরকারই গড়ে দেবে সেই বিষয়টিও আদালতের সামনে তুলে ধরা হবে।

আরও পড়ুন, ‘ডিভিসি-র সমন্বয় কমিটির তো কোনও প্রয়োজনীয়তাই নেই’, জানিয়ে দিলেন মমতা

উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) দক্ষিণবঙ্গের বন্যাকে আগেই Man Made Flood বলে চিহ্নিত করেছেন। সেই সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনের জন্য তিনি নিজে একাধিক জেলা সফর করেছেন। কথা বলেছেন বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে। এই বন্যার জন্য কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলে গতকালই তিনি বীরভূম থেকে একহাত নেন ডিভিসি সহ মোদি সরকারকে। বলেন, ‘যে কোনও নির্বাচনের আগে রাজ্যে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করা ভোটপাখিরা বাংলার এই দুর্যোগের সময় কোথায়? কেন্দ্রীয় জলশক্তিমন্ত্রী কোথায়? শুধু ভোট চাইতে এলেই হবে? আর বিপদের সময় মানুষকে এড়িয়ে যাবেন? এটা হতে পারে না। এখন ডিভিসির বদলে জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রের জলশক্তি মন্ত্রক। ডিভিসি বিদ্যুৎ মন্ত্রকের অধীনে থাকা একটি সংস্থা। তাহলে জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত জলশক্তি মন্ত্রক নেয় কীভাবে? তাহলে যে ডিভিসি তৈরি করা হয়েছিল মানুষের জীবন রক্ষার জন্য, সেই সংস্থার তো থাকা না থাকা সমান। তাই ডিভিসির সদর দফতর কলকাতা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গেলেও রাজ্যের কিছু যায় আসে না। কলকাতায় একটা বিল্ডিং পড়ে থাকবে, আর কলকাতার কথা না শুনে জল ছেড়ে বাংলার মানুষকে ডুবিয়ে মারবে, এটা হতে পারে না। জল ছেড়ে মানুষ মারে, এমন সংস্থা আমরা চাই না। তিনতলা সমান জল এসেছে এবার। এটা ভাবা যায় না। কিছুদিনের মধ্যে কেন্দ্র ডিভিসির বেসরকারীকরণ করে দেবে, এমনকী ইতিমধ্যে খদ্দেরও ঠিক হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্প খাতে রাজ্যের প্রাপ্য ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। অভিযোগ, বিরোধী শাসিত রাজ্য হওয়ায় বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষেত্রেও বাংলার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি দিল্লি।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘সমাজের অপূরণীয় ক্ষতি’, রতন টাটার প্রয়াণে শোকবার্তা মমতার

বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান পেল কোন কোন পুজো? দেখে নিন তালিকা…

গণ ইস্তফার সস্তা নাটক সিনিয়র চিকি‍ৎসকদের, নিয়ম মেনে কেন ইস্তফা দিচ্ছেন না উঠেছে প্রশ্ন

ফুচকাওয়ালা নিগ্রহকাণ্ডে মুখ খুলল সিংহী পার্ক পুজো কমিটি

ট্যাক্সিতে মিটার বসানো নিয়ে নয়া সুবিধা দিতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার

যাত্রী সংখ্যায় নয়া রেকর্ড গড়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দর

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর