নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনাকালে চাকরি হারিয়ে দিশেহারা অবস্থা অনেকেরই। সেরকমই পাটুলির বাসিন্দা অমিতজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ও লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন। স্ত্রী এবং এগারো বছর বয়সি ছেলেকে নিয়ে পাটুলিতে ভাড়াবাড়িতে থাকতেন তিনি। কাজ না থাকায় সংসার চালাতে চরম সমস্যায় পড়েছিলেন তিনি। ফলে ভুগছিলেন মানসিক অবসাদে। মঙ্গলবার রাতে পাটুলির ভাড়াবাড়িতেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল অমিতজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, স্ত্রী ও ছেলে বাড়ি ছিলেন না। তাঁরা দিন কয়েক আগে আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন। এই সুযোগেই ফাঁকা বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন ওই প্রৌঢ়। মঙ্গলবার গভীররাতে পাটুলি থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, লকডাউনের সময় থেকেই কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছিলেন অমিতজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে সাংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। মঙ্গলবার বাড়িতে একাই ছিলেন। বাড়ির মালিকের দাবি, সন্ধ্যার পর থেকে ঘরের ভিতর ছিলেন তিনি। তবে অনেক রাতেও কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে সন্দেহ হয় তাঁর। কিন্তু দরজা ও জানালা বন্ধ থাকায় কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না তিনি। প্রতিবেশীরাও জড়ো হয়ে ডাকাডাকি করলেও মেলেনি সাড়া। বাধ্য হয়ে পাটুলি থানায় খবর দেন বাড়ির মালিক। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন ওই প্রৌঢ়। পাটুলি থানার পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
রাতেই খবর যায় অমিতজ্যোতির স্ত্রী ও আত্মীয়দের। রাতেই পাটুলি পৌঁছে যান তাঁরা। মৃতের স্ত্রী জানিয়েছেন, একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন অমিতজ্যোতি। লকডাউনের সময় কাজ চলে যায় তাঁর। ফলে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। তবে বাড়ির মালিক ও প্রতিবেশীদের দাবি, অমিতজ্যোতি যে কর্মহীন সেটা জানতে পারেননি তাঁরা। এমনকি বাড়িতে প্রায়ই বাইরে থেকে খাবার আনাতেন তাঁরা। সবমলিয়ে রহস্য ঘনিভূত হয়েছে।