নিজস্ব প্রতিনিধি: দক্ষিণ পূর্ব রেল হাওড়া(Howrah) স্টেশন থেকে তাদের বেশির ভাগ দূরপাল্লার মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন সরিয়ে নিচ্ছে শালিমার(Shalimar) ও সাঁতরাগাছিতে। সেই শালিমার স্টেশনের কাছেই রয়েছে ৩ নম্বর রেলগেট(3 Number Lebel Crossing Gate)। পাশে উড়ালপুল থাকলেও এই রেল গেট দিয়েই পায়ে হাঁটা মানুষ বা সাইকেল বা টোটোয় চেপে যাওয়া মানুষজন যাতায়াত করেন। তার জেরে এই রেলগেটে ভিড়ও লেগে থাকে। সেই ভিড়ের মাঝে যাতে টোটো চালকেরা খুব জোরে টোটো চালিয়ে না যেতে পারেন তার জন্য ক্কেউ বা কারা রাস্তায় পাথর রেখে গিয়েছিল। তার জেরে শুক্রবার রাতে মিলন থাপা নামে এক টোটো চালক সেই পাথর সরাতে গেলে তার সঙ্গে বিবাদ বাঁধে এলাকারই এক চা ব্যবসায়ী সানি যাদবের। রাতের সেই বচসায় মিলন সানিকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। শনিবার সকালে মিলন দলবল নিয়ে চড়াও হয় সানির দোকানে। তাঁকে বেধড়ক মারধরও করে। সেই সময় স্থানীয় মন্দিরের পুরোহিত অবোধ কিশোর ওঝা(৬০) মিলনদের থামাতে গেলেও তাঁকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। আর তার জেরে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার জেরে শনিবার সকালে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বি গার্ডেন(B Garden) থানার ভড়পাড়া ও শালিমার ৩ নম্বর গেট সংলগ্ন এলাকায়।
আরও পড়ুন রাশিয়া নয়, মমতাতেই আস্থা ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের
জানা গিয়েছে, মিলন টোটো চালালেও তার পুরাতন ক্রাইম রেকর্ড রয়েছে। এদিনও সে দলবল নিয়েই সানির ওপর চড়াও হয়েছিল। মাঝখান থেকে বয়স্ক পুরোহিত সেই ঝামালে থামাতে গিয়ে প্রাণে মারা গেলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন বয়স্ক ওই পুরোহিতকে তাঁরা তড়িঘড়ি উদ্ধার করে প্রথমে দক্ষিণ হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাঁকে আন্দুল রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। ওই ব্যক্তিকে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বি গার্ডেন থানার পুলিশ। আসেন হাওড়া সিটি পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনার পর থেকে মিলন সহ এলাকাছাড়া হয়েছে আরও বেশ কিছু অভিযুক্ত। তাদের খোঁজে এখন শুরু হয়েছে জোর তল্লাশি।