নিজস্ব প্রতিনিধি: কোভিডের জেরে গতবছর থেকেই চলছে দফায় দফায় লকডাউন। আর সেই লকডাউন ধাক্কা দিয়েছে অর্থনীতিকে। সব থেকে খারাপ অবস্থা অসংগঠিত শ্রমিক ও ক্ষুদ্র তথা মাঝারি ব্যবসায়ীদের। এই অবস্থায় খাস কলকাতায় ২০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে না পারার জন্য এক কচুরি বিক্রেতাকে ফুটন্ত তেলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো গড়িয়াহাট এলাকার এক পুজো উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে গড়িয়াহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে তাঁরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। ওই কচুরি ব্যবসায়ীর কোমরের নিচের অংশ এবং দুই হাত সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর ভাই। তিনি এখন দক্ষিন কলকাতারই এক নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন।
জানা গিয়েছে, ওই কচুরি বিক্রেতার বালিগঞ্জ প্লেস এলাকায় একটি তেলেভাজা ও কচুরির দোকান রয়েছে। সম্প্রতি গড়িয়াহাট এলাকার একটি পুজো উদ্যোক্তা ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা চায় দুর্গাপুজোর জন্য। কিন্তু কোভিড ও লকডাউনের জেরে ব্যবসায় ধাক্কা খাওয়া ওই ব্যবসায়ীর পক্ষে সম্ভব ছিল না ওই বিপুল পরিমাণ টাকা চাঁদা বাবদ দেওয়া। তবে তিনি জানিয়েছিলেন চেক মারফত তিনি ১৫ হাজার টাকা দেবেন। কিন্তু তাতে নারাজ পুজো উদ্যোক্তারা রবিবার সন্ধ্যায় ওই ব্যবসায়ীর দোকানে চড়াও হন। সেই সময় উভয় পক্ষের মধ্যে বচসা বাঁধতেই ওই পুজো কমিটির লোকেরা ওই ব্যবসায়ীকে কড়াইয়ে থাকা ফুটন্ত তেলে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। আর তাতেই ওই ব্যবসায়ীর হাত ও পা পুড়ে যায়। কোনওরকমে বেঁচে যায় মুখ ও বুকের অংশ। শুধু তাই নয়, ওই ব্যবসায়ীর ৭০ বছর বয়সী মাকেও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ওই পুজো কমিটির লোকেদের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় চাঁদার দাবিতে আসা পুজো উদ্যোক্তারা। স্থানীয় বাসিন্দারাই ওই ব্যবসায়ী এবং তাঁর মা-কে উদ্ধার করে প্রথমে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ভর্তি করা হয় একটি নার্সিং হোমে। ঘটনার জেরে পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার না করায় এলাকার বাসিন্দারা রীতিমত ক্ষুব্ধ।