এই মুহূর্তে




সন্দীপের বাড়ি ঘুরে দেখছে কলকাতা পুরনিগমের দল, অভিযোগ বেআইনি নির্মাণের

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতার(Kolkata) আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের(R G Kar Medical College and Hospital) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ(Sandip Ghosh) বেলেঘাটার বদন রায় লেনে ৪ তলা পেল্লাই প্রাসাদসম নিজের বাড়ি বানিয়েছিলেন। সেই বাড়ি আবার বানানো ও সাজানো হয়েছিল রীতিমত বাস্তুশাস্ত্র মেনে। অথচ সেই বাড়ির কিনা একাংশ বেআইনি ভাবে নির্মীত হয়েছে। সেই অভিযোগ পেয়েই সন্দীপের বাড়িতে আগেই নোটিস পাঠিয়েছিল কলকাতা পুরনিগম। সেই নোটিসে বলা হয়েছিল, যেহেতু ওই বাড়ির একাংশ বেআইনি ভাবে নির্মিত বলে অভিযোগ উঠেছে তাই বাড়িটি খতিয়ে দেখতে যাবেন কলকাতা পুরনিগমের(KMC) এক দল আধিকারিক। সেই নির্দেশিকা মেনে এদিন সন্দীপের বাড়ি ঘুরে দেখছেন কলকাতা পুরনিগমের একটি প্রতিনিধি দল(Investigating Team)।

আরও পড়ুন, মহারাষ্ট্রের ‘রাজ্য মাতা’ হল গরু, জারি শিন্ডে সরকারের নির্দেশিকা

বেলেঘাটায় সন্দীপের বাড়িটির একাংশ বেআইনি ভাবে নির্মিত বলে যে অভিযোগ উঠেছে তার সত্যতা খতিয়ে দেখতেই কলকাতা পুরনিগম অনুসন্ধানকারী দল পাঠিয়েছে। বাড়িটির একাংশ অবৈধ ভাবে নির্মিত কি না, নির্মিত হলে তার আয়তন কতটা, এই সব খতিয়ে দেখবেন আধিকারিকেরা। বেলেঘাটার বদন রায় লেনে সন্দীপের যে চার তলা বাড়িটি রয়েছে, তার কিছু অংশ বেআইনি ভাবে নির্মিত বলে স্থানীয়দেরও দাবি। সেই দাবির সত্যতা এদিন খতিয়ে দেখছেন কলকাতা পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়ার জীবন দাস ও কিরণ মণ্ডল। যদিও সন্দীপের বাড়ি বেআইনি ভাবে নির্মীত হয়েছে সেই মর্মে কলকাতা পুরনিগমের কাছে কে বা কারা অভিযোগ করেছেন, তা সামনে আসেনি এখনও। এদিন যে অনুসন্ধানকারী দল সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে এসেছে তাতে দুই আধিকারিক ছাড়াও অন্য সহকারী এবং কর্মচারীও রয়েছেন।

আরও পড়ুন, চা-শ্রমিকদের ডাকা বনধে ধাক্কা খেল পাহাড়ের আংশিক জনজীবন

ঘটনা হচ্ছে, সন্দীপ নিজে চিকিৎসক। বিজ্ঞান বিভাগের কৃতি ছাত্রও। তারপরেও তাঁর গভীর বিশ্বাস ছিল চিনা ফেঙশুই বা ভারতীয় বাস্তুশাস্ত্রের ওপর। যার সঙ্গে আবার বিজ্ঞানের কোনও সম্পর্ক নেই। আর জি কর ঘটনার জেরে তাঁর সেই বাড়িতেই CBI’র তল্লাশি অভিযান চলেছিল। সেই সময়েই প্রথমবার সামনে আসে যে সন্দীপ বাস্তশাস্ত্র মেনে তাঁর বাড়ি বানিয়েছেন। বাড়ির মুখ্য প্রবেশদ্বার একদম পূর্বমুখী। যেদিক থেকে সূর্যোদয় হয়, ঠিক সেদিকেই পুরোপুরি ৯০ ডিগ্রি কোণে রয়েছে বাড়ির প্রবেশদ্বার। প্রবেশদ্বারের দু’দিকে দু’টি স্বস্তিক চিহ্ন বসানো। বাড়ির পাঁচিলের দু’কোণেও স্বস্তিক। বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, বাড়ির প্রবেশদ্বারে স্বস্তিক চিহ্ন থাকা শুভ। শুভাশুভ হয় কর্ম দ্বারা স্বস্তিক চিহ্ন দিয়ে নয়। মূল গেট থেকে ঢোকার পরই বাড়িতে ঢোকার দরজা। সেই দরজার ওপরে রয়েছে পঞ্চমুখী হনুমানের একটি ছবি। বাস্তুমতে বিশ্বাস করা হয়, এই ছবিও খারাপ শক্তিকে গৃহে প্রবেশে আটকায়। বাড়িতে সুখ, শান্তি বজায় থাকে। কিন্তু এখন তো সব শান্তি আর সুখই উধাও হয়ে গিয়েছে সন্দীপ ঘোষের জীবন থেকে। তালে আর বাস্তশাস্ত্র কী কাজে লাগল!




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সোমবার চতুর্থীতে অসুর হয়ে হাজির হচ্ছে বৃষ্টি, সঙ্গে রাখুন ছাতা

‘কুলতলির ঘটনাতে তিন মাসের মধ্যে ফাঁসির অর্ডার হোক, সেটাই চাই’, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

পার্ক স্ট্রিট থানায় মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারকে শ্লীলতাহানি

সরলেন বাবুন, এলেন সুজিত, পুজোর আবহেই বদল Hockey Bengal-এ

‘কর্মবিরতি করলেন আবার ৩২ হাজার টাকা স্টাইপেন্ডও নিলেন’, ডাক্তারদের নিশানা কল্যাণের

অসুর হয়ে হাজির বৃষ্টি, হকার- ব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর