নিজস্ব প্রতিনিধি: একজন অধ্যাপক, অন্যজন শিল্পী। দু’জনেই তৃণমূল বলে পরিচিত। টেট আন্দোলনের প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন অভিরূপ সরকার এবং শুভাপ্রসন্ন। ২০১৪ টেট (TET) উত্তীর্ণ নট ইনক্লুডেড প্রার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে তাঁরা বলেন, সরকারের সহমর্মিতা আছে। তবে টেট পাশ করলেই হয় না, ইন্টারভিউ ‘ক্র্যাক’ করতে হয়। এরপরেই তাঁদের বক্তব্য, উস্কানির রাজনীতি চলছে। মদত দিচ্ছেন বিরোধীরা।
এই প্রসঙ্গে শুভাপ্রসন্ন বলেন, এই আন্দোলন অহেতুক। ওখানে ১৪৪ ধারা জারি। কিন্তু সেখানে বিরোধী দলগুলি উস্কানির রাজনীতি করছে। তিনি আরও বলেন, ‘জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য কেউ কেউ ট্যুইট করছেন। মানুষ এঁদের পাশে নেই’ তিনি বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সচেতন, দয়াশীল। আইনের কাছে সকলের হাত-পা বাঁধা। আন্দোলনকারীদের সমস্তটা বুঝতে হবে। বলেন, এতে জনজীবন বিপর্যস্ত। এই আন্দোলন অহেতুক এবং অযৌক্তিক।
অভিরূপ বলেন, ১৪৪ ধারা জারি যেখানে সেখানে এভাবে আন্দোলন করা যায় না। সেখানে ১৪৪ ধারা সরকার জারি করেনি। করেছে আদালত। তিনি বলেন, ভুল পথে লড়াই করা হচ্ছে। এঁদের উস্কে দিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে বিজেপি। অনশন, আমরণ অবস্থান করে চাপ দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ সহনশীলতার সঙ্গে তাঁদের সরিয়ে দিয়েছে। তাঁর বক্তব্য, ২০১৪ সালের টেট প্রার্থীদের এই আন্দোলনের বিরোধিতা করছেন ২০১৭ সালের চাকরিপ্রার্থীরা। আরও বলেন, চাকরির পরীক্ষায় সকলে অংশগ্রহণ করুন। বলেছেন, আইনই শেষ কথা বলবে।
উল্লেখ্য, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেছেন, ইন্টারভিউয়ে অংশগ্রহণ করতেই হবে। সরাসরি নিয়োগের দাবি মানা হবে না। উল্লেখ্য, ২০১৪ টেট প্রার্থীদের দাবি সরাসরি নিয়োগ করার। তাঁরা বলেছেন, ইতিমধ্যেই তাঁরা ২ বার ইন্টারভিউ দিয়েছেন। তাই এবার সরাসরি নিয়োগ করতে হবে। দাবি ছিল, বয়সসীমা বাড়াতে হবে। পর্ষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইন্টারভিউ দিলেও তাঁরা ওই প্রক্রিয়ায় উত্তীর্ণ হননি, ফলে আবার ইন্টারভিউ দিতে হবে। সেই সঙ্গে বলা হয়, বয়সসীমা বাড়ানোর এক্তিয়ার নেই পর্ষদের।
টেট সম্পর্কিত আরও খবর:প্রাথমিকে আবেদনের নিয়ম বদল, জারি হল নয়া বিজ্ঞপ্তি