নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনদিন আগে দমদমের আইএলএস হাসপাতালে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন নদিয়ার হরিণঘাটার বাসিন্দা জয়ন্ত দেবনাথের স্ত্রী। জন্মের পরেই সদ্যোজাতর হৃদযন্ত্রের সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু আর্থিক অবস্থা দুর্বল থাকায় হতাশ ছিলেন সদ্যোজাতর পরিবারের লোকজন। কি করবেন? সেই চিন্তাই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল ওই সদ্যোজাত’র পরিবারে। সেই কথা জানতে পারেন টলিউডের ফিল্ম এডিটর অনির্বাণ মাইতি। আর তারপরেই ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করেন। যাতে ট্যাগ করেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও দেবাংশু ভট্টাচার্য ও মদন মিত্রের কাছে। সদ্যোজাত’র বাবার নাম ও ঠিকানা, ফোন নম্বর দিয়ে যোগাযোগের আর্জি জানান অনির্বাণ।
তারপরেই শনিবার রাতে হরিণঘাটার বাসিন্দা জয়ন্ত দেবনাথের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিম। জয়ন্ত বাবুকে আশ্বস্ত করা হয় তাঁর সন্তানের যাবতীয় দায়িত্ব নিচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ। ওই সদ্যোজাত শিশুটির জটিল হৃদযন্ত্রের সমস্যা একমাত্র এসএসকেএম এবং মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালেই হয়। তাই সেইমতোই ব্যবস্থা করে একরত্তির চিকিৎসার ব্যবস্থা মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে করে দেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই শিশুর পরিবারকে আশ্বস্ত করেন চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করবেন খোদ সাংসদ। মূলত অনির্বাণের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেখেই সক্রিয় হয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিম। তাদের তত্পরতায় অসুস্থ শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে আর এন টেগোর হাসপাতালে।
চিকিৎসক ডঃ দেবব্রত নন্দীর অধীনে আপাতত চিকিৎসা চলছে ওই একরত্তির। আর অভিষেকের এই তৎপরতায় খুশি শিশুটির পরিবারের লোকজন। এর আগেও নানা ঘটনায় অভিষেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাহায্য পেয়েছেন বহু মানুষ। গতবছরেই বাজ পড়ে মৃতদের পরিবারকে নিজের হাতেই আর্থিক সাহায্যে করেছেন অভিষেক। অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়া থেকে খবর পেয়ে আর্থিক ত্রাতার ভূমিকায় সাংসদের ঝাঁপানোর ঘটনায় খুশি নেট নাগরিকরা।