নিজস্ব প্রতিনিধি: ২১-এর নির্বাচনের আগেই আচমকাই কয়লা পাচার কাণ্ড নিয়ে তৎপর হয় ইডি-সিবিআই। আর সেই সূত্রেই কখনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আবার কখনও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিশ পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ইডি ও সিবিআই-এর এই নোটিশ পাঠানোর পিছনে আসল উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক চক্রান্ত। যা নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার যদুবাবুর বাজারে ভবানীপুরের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে গিয়ে সেই ইডি-সিবিআই ইস্যুতে পাল্টা দিতে ছাড়েননি অভিষেক।
তিনি স্পষ্ট হুঙ্কার দিয়ে বলেছেন, ‘একমাত্র নরেন্দ্র মোদিকে হারাতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। বহিরাগতদের দিয়ে বাংলা দখল করতে না পেরে এখন বহিরাগত এজেন্সি পাঠাচ্ছে। ৫০০ এজেন্সি পাঠালেও মেরুদণ্ড বিক্রি করব না। কত নোটিস পাঠাবেন পাঠান। মেরুদণ্ড বিক্রি করব না। এখনও পর্যন্ত আমাকে ৫টা নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশ পাঠাতে পাঠাতে কাগজ-কালি শেষ হয়ে যাবে, তবু জেরা শেষ হবে না। ইডি-সিবিআই আমার কাঁচকলা করেছে, কাঁচকলা করবে।’ বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে যোগ দিতে রোমে যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু গত শনিবার সেই সফর বাতিলের কথা জানিয়ে নবান্নে একলাইনের চিঠি দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। আর সেই বিষয়ে আজ ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজার থেকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন অভিষেক। তিনি জানিয়েছেন, ‘গোটা দেশের তরফে আন্তর্জাতিক ওই শান্তি সম্মেলনে ডাক পেয়েছিলেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মোদির সরকার তাঁকে যেতে দিল না। কেন জানেন? কারণ তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ওঁর থেকে বেশি জনপ্রিয় হয়ে যাবেন।’
এদিন অভিষেক ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকেও আক্রমণ করেছেন। সে রাজ্যে তৃণমূলকে আটকাতে বিজেপি শাসিত সরকারের যে উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত আইন বানিয়েছে, তা নিয়েও আক্রমণ করেছেন অভিষেক। ভবানীপুর উপনির্বাচনে জিতলেও আগামীতে দিল্লি তথা ভারত জেতার রাস্তা তৈরি বলেও জানিয়েছেন অভিষেক। তৃণমূলের আগামী দিনে লক্ষ্য গোয়া, ত্রিপুরা, অসম, জানিয়েছেন ডায়মণ্ডহারবারের সাংসদ।