নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) তরফে কার্যত পাখির চোখে দেখা হচ্ছে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনকে। দেশের ক্ষমতাকে থেকে মোদি ও বিজেপিকে হঠাতে এই নির্বাচনকেই গুরুত্ব দিচ্ছে দেশের সব বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলি। কিন্তু দেশে সরকার গড়তে চাই ২৭২জন সাংসদের সমর্থন। একা তৃণমূলের পক্ষে বাংলা থেকে সেই আসন জোগাড় করা সম্ভব নয়। কেননা বাংলায় লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে মাত্র ৪২টি। এই অবস্থায় তৃণমূল চাইছে বাংলার বাইরে থেকেও তাঁদের সাংসদ জোগাড় করতে। সেই সঙ্গে দেশের যে সব রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও আঞ্চলিক শক্তি নেই, কংগ্রেসও দুর্বল, সেই সব রাজ্যে দলের বিস্তার ঘটাতে। সেই লক্ষ্যেই অসমে(Assam) তৃণমূলের বিস্তার ঘটাতে চাইছে জোড়াফুল শিবির। সেই বিস্তারের অঙ্গ হিসাবেই আগামী ১১ মে একদিনের অসম সফরে যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে অসম থেকে প্রার্থী দাঁড় করাতে চায় দল। তার আগে সেখানকার সংগঠন শক্তপোক্ত ভাবে দাঁড় করাতে চাইছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই সঙ্গে সেখানে বিজেপি বিরোধী শক্তিশালী কার্যকর জোট গঠন করতেও চায় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। এবার সেই জোটের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা সারতেই একদিনের জন্য অসম যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রে খবর, ১১ মে একদিনের সফরে অভিষেক বৈঠক করবেন রিপুন বোরা(Ripun Bora) ও সুস্মিতা দেবের(Sushmita Khan) সঙ্গে। রিপুন বোরাকে অসম তৃণমূলের সভাপতি করার পর এবার ঘর গোছানোর কাজ শুরু করতে চায় তৃণমূল। সেই সঙ্গে দ্রুত গুয়াহাটিতে দলের রাজ্য সদর দফতর খোলার চেষ্টাও করা হচ্ছে। সেই নিয়েও অভিষেকের চলতি সফরে আলোচনা হবে বলেই জানা গিয়েছে। অসমে তৃণমূলের যাবতীয় কাজকর্ম সেখান থেকেই করা হবে। নতুন রাজ্য দফতর খোলার পর সেখানেই অন্য দল থেকে আসা নেতাদের যোগদান করানো হবে। বিশেষ করে অসমের মাটিতে প্রতিদিন যেভাবে কংগ্রেস শক্তিহীন হচ্ছে, সেই প্রেক্ষাপটে সেখানকার কংগ্রেসি নেতাদের এখন জোড়াফুলে টানতে চাইছে তৃণমূল শিবির।
একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে অসমে প্রার্থী দিয়ে যাতে তাঁদের জিতিয়ে আনা যায় তার জন্য সেখানে বিজেপি বিরোধী এআইইউডিএফের সঙ্গে ফের জোট গড়তে পারে তৃণমূল। তবে তার আগে অসমে নিজেদের সংগঠন শক্তিশালী করতে চায় তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের আশা রিপুন বোরা ও সুস্মিতা দেবের হাত ধরে অসমের অনেক কংগ্রেস নেতাই তৃণমূলে যোগদান করবেন। আর সেই জায়গা থেকেই অসমে পায়ের নীচে শক্ত জমি পেয়ে যেতে পারে তৃণমূল।