নিজস্ব প্রতিনিধি: রামনবমীর(Ramnabami) শোভাযাত্রাকে ঘিরে বৃহস্পতিবার হাওড়া(Howrah) শহরের শিবপুর(Shibpur) এলাকায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনায়(Clash Incident) গোটা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কাজীপাড়া থেকে সন্ধ্যাবাজার পর্যন্ত এলাকা রীতিমত রণক্ষেত্রের রূপ নেয়। চলে ব্যাপক হারে উভয় পক্ষের সংঘর্ষ। একের পর এক দোকান, বাড়ি, গাড়ি ভাঙচুর করে দেওয়া হয়। আক্রান্ত হয় পুলিশও। বেশ কিছু জায়গায় রাস্তায় থাকা যানবাহণে আগুন ধরিয়ে দেওয়াও হয়। সেই ঘটনায় এদিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) পুলিশের কাজে কিছু গাফিলতির কথা স্বীকার করে নেন। তবে ঘটনাচক্রে মুখ্যমন্ত্রীর সেই দাবির পরে এদিন বিকালে সাংবাদিক সম্মেলন(Press Meet) করেন তৃণমূলের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। তিনি কিন্তু হাওড়ার ঘটনায় পুলিশকে কার্যত ক্লিনচিটই দিয়েছেন। তাঁর দাবি, পুলিশের সঙ্গে মৌখিক যে কথা হয়েছিল তাঁকেই অনুমতি হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে আর সেই মৌখিক বৈঠকেও যে কথা হয়েছিল সেটাও মানা হয়নি।
আরও পড়ুন রেশন ডিলারকে ৯ কোটির জরিমানা, জেলায় ১২ কোটি
ঠিক কী বলেছেন অভিষেক? তৃণমূলের সাংসদের দাবি, ‘কিছু সংবাদমাধ্যম ও বিজেপির তরফ থেকে বলা হচ্ছে যে গতকালের মিছিলে নাকি পুলিশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনা সর্বৈব মিথ্যা। পুলিশ মিছিলেন অনুমতি দেয়নি। ২-৩টি সংগঠনের তরফে পুলিশের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল মিছিল করতে চেয়ে। এটা বুঝতে হবে আবেদন পত্র কখনই অনুমতি পত্র নয়। পুলিশ ওই ৩টি সংগঠনকে ৪টি গাইড লাইন মেনে চলার কথা বলেছিল। সেই চিঠির কোনও উত্তর তো দেওয়া হয়ইনি, এমনকি মিছিলে সেই গাইড লাইন মানাও হয়নি। গাইড লাইনে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হ্যেছিল কোনও ডিজে বাজানো যাবে না। বাস্তবে তীব্রস্বরে ডিজে বাজিয়ে মিছিল করা হয়েছিল। অস্ত্র নিয়ে মিছিল করতে বারণ করা হয়েছিল, সেটাও মানা হয়নি। পুলিশকে ধন্যবাদ দেব যে তাঁরা নিজেরা আক্রান্ত হয়েও সেভাবে কাউকে আক্রমণ করেননি। এমনকি বলে দেওয়া হয়েছিল আড়াইটে থেকে মিছিল করতে নিরস্ত্রভাবে আর তা ৫টের মধ্যে শেষ করতেও বলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মিছিল শুরুই হয় সাড়ে ৫টার পরে। দুটো আলাদা আলাদা মিছিল মিশে গিয়ে এই তাণ্ডব চালিয়েছে।’