এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

চিদম্বরম হেনস্থায় পিএসি পদ থেকে সরতে পারেন অধীর

নিজস্ব প্রতিনিধি: পাবলিক অ্যাকাউন্ট চেয়ারম্যান (PAC) পদ থেকে সরতে পারেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অন্তত সূত্রের খবর এমনটাই। জানা গিয়েছে কেন পদে তাঁকে রাখা হবে, তা জানতে চায় কংগ্রেস। তাঁর বদলে নাম প্রস্তাব করা হতে পারে শশী থারুরের। এ কি তবে চিদম্বরমকে হেনস্থার ফল? কারণ একাংশের মতে, অধীরের মদতেই কংগ্রেসি আইনজীবীরা পি চিদম্বরমকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।

কংগ্রেস আগেই ঘোষণা করেছিল এক ব্যক্তি, এক পদ। তবু ৩ টি পদ জুড়ে ছিলেন অধীর। তিনি লোকসভায় কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেতা। অন্যদিকে সংসদে পাবলিক অ্যাকাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান (Chairman)। আবার তিনিই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তা নিয়ে দলের অন্দরেই উঠেছিল প্রশ্ন। তবে হাইকম্যান্ড বলেছিল, যাকে সামনে রেখে সংসদে বিজেপি বিরোধী লড়াই, তাঁকে গুরুতর বিষয় ছাড়া সরিয়ে নেওয়া ঠিক হবে না।

সূত্রের খবর, আগামী ১৩ মে রাজস্থানের উদয়পুরে হবে কংগ্রেসের চিন্তন শিবির। সেখানেই পদ থেকে সরানো হতে পারে অধীরকে। সেই জায়গায় আসতে পারেন শশী থারুর। উল্লেখ্য, একটি মামলায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের হয়ে সওয়াল করছিলেন চিদম্বরম। গত বুধবার কেন্দ্রের এই কংগ্রেস নেতাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় রাজ্যের কংগ্রেসি আইনজীবীরা! এতে প্রদেশ কংগ্রেসের ওপর বেজায় ক্ষুব্ধ কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। সূত্রের খবর, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি। তবে বুধবারের ঘটনার পর সম্ভবত আর সশরীরে কলকাতা হাইকোর্টে এসে সওয়াল করবেন না পি চিদম্বরম। তিনি সওয়াল করবেন দিল্লিতে বসেই ভার্চুয়ালি।

সূত্রের খবর, সম্ভবত বুধবার পি চিদম্বরম তাঁর ওপর আক্রমণের ঘটনা আদালতের বিচারপতিকে জানিয়েছিলেন। তারপরেই খুব সম্ভবত ঠিক করা হয়েছে দিল্লিতে বসেই ভার্চুয়ালি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের হয়ে সওয়াল করবেন চিদম্বরম। আর উপস্থিত হবেন না কলকাতা হাইকোর্টে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। রাজনীতি আর পেশা ২ টো সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। পি চিদম্বরম উল্লেখযোগ্য কংগ্রেসি নেতা। কেন্দ্রে কংগ্রেসি আমলে তিনি সামলেছিলেন অর্থমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ পদ। আইনজীবী হিসেবেও তাঁর নাম উল্লেখযোগ্য। রাজনীতি কেন ব্যক্তিগত পেশায় নাক গলাবে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যেখানে হাইকম্যান্ডের আপত্তি নেই সেখানে রাজ্যের কিছু স্বঘোষিত কংগ্রেসি আইনজীবী কেন কেন্দ্রের নেতাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাবে, কেন তাঁর পেশায় বাধা দেবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এর আগে বহুবার হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের কারও হয়ে কেস লড়ছে অন্য রাজনৈতিক শিবিরের নেতা। বুধবারের এই ঘটনা যথেষ্ট নিন্দনীয়। যার জেরে ভার্চুয়ালি সওয়ালের সিদ্ধান্ত নিতে হল বরিষ্ঠ এই আইনজীবীকে। তিনি এই কেসের শুনানিতে আর আদালতেই আসবেন না!

কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) মামলা লড়তে এসে চরম হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম(P Chidambaram)। আর এই হেনস্থার ঘটনা ঘটিয়েছিলেন স্বঘোষিত কিছু কংগ্রেস সমর্থক আইনজীবী(Congress Lawyers)। সূত্রের খবর,  এই ঘটনায় চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ হয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি(Sonia Gandhi)। আর তার জেরেই তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর(Adhir Ranjan Chowdhury) কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। কংগ্রেসে এমন অনেকেই আছেন যারা পেশাগত ভাবে আইনজীবী হওয়ার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে শুধু দলের হয়ে কাজ করে চলেছেন তাই নয়, কেন্দ্রে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বও সামলেছেন বছরের পর বছর। তাঁদের মধ্যে যেমন কপিল সিব্বাল, সলমন খুরশিদ, মণিশ তিওয়ারিরা আছেন তেমনি আছেন পি চিদম্বরমও। কংগ্রেসের নেতা, সাংসদ, মন্ত্রী হওয়ার পরেও তাঁরা নিজ পেশায় বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্গে কাজ করে চলেছেন বছরে পর বছর ধরে। তারপরেও কেন বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে কংগ্রেসি আইনজীবীদের হাতে হেনস্থা হতে হল তা নিয়েই রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।

বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট কার্যত নজিরবিহীন এক নেক্কার জনক ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকল। একটি মামলায় সাওয়াল করতে এদিন দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টে আসেন পি চিদাম্বরম। যে মামলাটি তিনি শুনানির জন্য আসেন তা দায়ের করেছেন আবার খোদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। যদিও চিদম্বরম এই মামলার বিরুদ্ধ পক্ষের হয়ে সাওয়াল করতে এসেছিলেন। আর হাইকোর্ট চত্বরে পা রাখা মাত্রই দুই কংগ্রেসি আইনজীবী চিদম্বরমের বিরুদ্ধে ‘গো ব্যাক’ শ্লোগান দিতে থাকেন। কোর্ট চত্বরের বাইরেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অধীররঞ্জন চৌধুরীর আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি। একইসঙ্গে এক মহিলা আইনজীবীর বিরুদ্ধে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা আইনজীবীর কালো কোটটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। সুমিত্রা নিয়োগী নামে ওই মহিলা আইনজীবী প্রথমে চিদম্বরমের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। বর্ষীয়ান আইনজীবীর বিরুদ্ধে এই ধরণের আচরণে ক্ষুব্ধ রাজনৈতিক মহল, বিচারপতিদের মহল, আইনজীবীদের মহল এবং অবশ্যই খোদ কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। আর তার পরে পরেই অধীরের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। আর তারপরে ‘ঝামেলা’ এড়াতে ভার্চুয়ালি সওয়ালের সিদ্ধান্ত, আরও গুঞ্জন তুলেছে রাজনৈতিক মহলে। এ যেন কেন্দ্র কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রাজ্য কংগ্রেসের বিক্ষোভ। যার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। উল্লেখ্য, কংগ্রেসের আপত্তি কিন্তু নেই বঙ্গের রাজ্যের হয়ে চিদম্বরমের সওয়ালে। এই মামলা থেকে সরছেনও না বরিষ্ঠ আইনজীবী। শুধু প্রদেশ কংগ্রেস আইনজীবীদের ‘ঝামেলা’ এড়াতে ভার্চুয়ালি এই মামলার সওয়াল করবেন তিনি। আর চিদম্বরমকে হেনস্থায় না কি মদত ছিল অধীরের, কারণ আদালতে এই মামলা করেছিলেন তিনিই। আর সেই হেনস্থা করার ফল হিসেবেই তিনি হারাতে পারেন পিএসি’র পদে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ ২ মে, উচ্চমাধ্যমিকের ৮ তারিখ

রেকর্ড গরম কলকাতায়, ৫০ বছরের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

আলিপুর চিড়িয়াখানায় নতুন সদস্য, বিশাখাপত্তনম থেকে এল সাদা বাঘ

জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার দিন চলবে অতিরিক্ত মেট্রো, জেনে নিন সময়সূচি

২৬ হাজার চাকরিহারা পাবেন এপ্রিল মাসের বেতন, জানাল শিক্ষা দফতর

২ মাসের মধ্যে ৮৬৭ শূন্যপদে দিতে হবে চাকরি, প্রাথমিকে নিয়োগে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর