নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর পর এবার রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জোর দিয়ে বললেন, ‘ভবানীপুরে মমতার জয় নিশ্চিত।’ ভোট শেষ হওয়ার আগেই এমন মন্তব্য শোনা গেল জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। তিনি শুধু রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতিই নন, একইসঙ্গে জাতীয় কার্যকরী কমিটির সদস্যও। স্বাভাবিকভাবেই জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্যে ইতিমধ্যেই জোর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
‘ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেও জিতেছেন, এবারেও জিতবেন।’ অধীর চৌধুরীর এই মন্তব্যের পর আসরে নামলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতার জয় শুধু নিশ্চিত বলেই থেমে থাকেননি তিনি। তাঁর মন্তব্যের নেপথ্যে যুক্তিও খাঁড়া করেছেন। বিজেপি নেতার কথায়, ‘বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি যে ভুল করেছিল, ভবানীপুর উপনির্বাচনে তারই পুনরাবৃত্তি হয়েছে। আমি বারবার রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বকে বলেছিলাম, বাংলায় ক্ষমতায় আসতে গেলে বাঙালি প্রার্থীকে দিয়েই মানুষের মন জয় করতে হবে। অবাঙালি প্রার্থী দিয়ে ভোটব্যাঙ্কে প্রভাব ফেলা সম্ভব নয়।’ এরপর অনেকটা কটাক্ষের সুরেই তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘ভবানীপুরের মতো হেভিওয়েট আসনে তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে নাকি বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল!’
শুধু অবাঙালি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে কটাক্ষই নয়, মমতা-বন্দনাও শোনা গেল রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতির গলায়। জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন হেভিওয়েট প্রার্থী। মানুষের সঙ্গে তাঁর নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। তিনি অন্তত ৫০ হাজার ভোটে উপনির্বাচন জিতবেন।’ ভবানীপুর প্রসঙ্গে তাঁর মত, ‘ভবানীপুরে অনেক অবাঙালি আছে, তবে তাঁরাও নিজেদের বাঙালি বলেই পরিচয় দেন। এবং কোনও ভোটের প্রার্থী হিসাবে তাঁরা বাঙালিকেই পছন্দ করেন।’ এ নিয়ে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকেও বার্তা দেন তিনি। বলেন, ‘আগে বিজেপিকে বাঙালি হয়ে উঠতে হবে, তারপর বাংলায় লড়াই করতে পারবে। দলের ব্যবহার, কর্মসূচি সমস্ত কিছু বাঙালিয়ানার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তুলতে হবে।’ নাম না নিয়েও জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় স্পষ্ট, দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে নিয়ে তিনিও অসন্তুষ্ট ছিলেন। বলেন, ‘নতুন রাজ্য সভাপতি এসেছেন। তিনি শিক্ষিত মানুষ। আশা করি, বিজেপি এ রাজ্যে বাঙালি হয়ে উঠতে পারবে এবার।’