এই মুহূর্তে




উৎসব মরশুম শেষ হলে ভোট হতে পারে হাওড়া আর বালিতে

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে বিল। কিন্তু তাতে সই করছেন না রাজ্যপাল। কোনও উপযুক্ত কারণ ছাড়াই ৬টি বিল এভাবে রাজভবনে আটকে রয়েছে গত ২২ মাস ধরে। তার মধ্যে আছে হাওড়া ও বালি পুরসভা পুনর্গঠনের বিলও। সেই জগদীপ ধনখড়ের আমল থেকে এই বিলটি আটকে আছে যার জেরে এই দুই শহরে পুরনির্বাচন করাতে পারছে না রাজ্য সরকার(West Bengal State Government)। কোনও উপায় না দেখে শেষপর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই মামলায় গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধেই নোটিস জারি করেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। যদিও নবান্নের(Nabanna) দায়ের করা এই মামলায় বিবাদী করা হয়েছে রাজ্যপালের সচিবকে। তাই তাঁর নামেই ইস্যু হয়েছে নোটিস। রিপোর্ট তলব করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছেও। ২১ দিনের মধ্যে এব্যাপারে জবাব দিতে হবে উভয়পক্ষকে। তিন সপ্তাহ পর, আগামী ২০ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি। আর এই নির্দেশের জেরেই এখন নবান্নের আধিকারিকদের দাবি, এই মামলা যদি দ্রুত নিষ্পত্তি হয় তাহলে উৎসব মরশুমের পরে পরেই হাওড়া ও বালিতে নির্বাচন করানোর পথে হাঁটা দেবে রাজ্য প্রশাসন। 

আরও পড়ুন নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে মমতা

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া পুরনিগমের(Howrah Municipal Corporation) ৫০টি ওয়ার্ড এবং বালি পুরসভার(Bally Municiplaity) ৩৫টি ওয়ার্ডে ভোট করানোর ক্ষেত্রে আইনগত কোনও জটিলতা আছে কি না, তা এখন যাচাই করছে প্রশাসন। তৃণমূলের(TMC) পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। যে মুহুর্ত সুপ্রিম কোর্ট গতকালের মামলায় কোনও রায় দেবে এবং বিলে সই করবেন রাজ্যপাল, তারপরে পরেই হাওড়া ও বালিতে পুরনির্বাচনের পথে হাঁটা দেবে রাজ্য সরকার। বালি আগা আলাদা পুরসভা ছিল। কিন্তু তৃণমূল জমানায় সেউ বালিকে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে। সেখানকার ৩৫টি ওয়ার্ড পুনর্গঠন করে ১৬টি ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হয় এবং এই ১৬টি ওয়ার্ডকে হাওড়া পুরনিগমের ৫০টি ওয়ার্ডের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়। তারপর হাওড়া পুরনিগমের মোট ওয়ার্ডের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিল ৬৬। পরে আবার রাজ্য সরকার বালিকে হাওড়া পুরনিগম থেকে আলাদা করে পৃথক পুরসভা হিসাবে গড়ে তোলার পথে হাঁটা দেয়। সেই নিয়ে রাজ্য বিধানসভাতে বিলও পাশ হয়। কিন্তু সেই বিলেই সই করতে রাজী হননি জগদীপ ধনখড়। এখনও সেই বিল আটকে আছে রাজভবনে।

আরও পড়ুন বিশ্বনাথ প্রয়াণে ট্যুইটে শোকবার্তা মমতার, ঘোষণা অর্ধদিবসের ছুটি

একুশের ভোটে হাওড়া পুরনিগম এলাকার ৪টি বিধানসভা কেন্দ্র এবং বালি বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছে, হাওড়ার বেশ কিছু ওয়ার্ডে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। যদিও শহরের বেশিরভাগ ওয়ার্ডেই এগিয়ে আছে তৃণমূল। বালিতে আবার লিড পেয়েছে বিজেপি। সেই কারণে বালি নিয়ে কিছুটা হলেও চাপে আছে তৃণমূল। যদিও জোড়াফুল শিবিরের নেতাদের দাবি, যবেই ভোট হোক না কেন, জিতবে তৃণমূলই। বিরোধীরা নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করতে শুধু নির্বাচনে লড়াই করবে মাত্র। তাঁরা বোর্ডের দখল নেওয়া তো বহু দূরের কথা বিরোধী পক্ষ হিসাবেও উঠে আসবে না। তবে দুই শহরের জনতারই দাবি, ভোট যত দ্রুত যেন করিয়ে নেওয়া হয়। কেননা এলাকায় কোনও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকায় উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। আমজনতাকেও নানা সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দমবন্ধ করা ভিড়, ভিড় সামলাতে বিশেষ নিরাপত্তা-ব্যবস্থা কলকাতা মেট্রোয়

‘সমাজের অপূরণীয় ক্ষতি’, রতন টাটার প্রয়াণে শোকবার্তা মমতার

বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান পেল কোন কোন পুজো? দেখে নিন তালিকা…

গণ ইস্তফার সস্তা নাটক সিনিয়র চিকি‍ৎসকদের, নিয়ম মেনে কেন ইস্তফা দিচ্ছেন না উঠেছে প্রশ্ন

ফুচকাওয়ালা নিগ্রহকাণ্ডে মুখ খুলল সিংহী পার্ক পুজো কমিটি

ট্যাক্সিতে মিটার বসানো নিয়ে নয়া সুবিধা দিতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর