এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

WEB Ad_Valentine



শপথ নিয়ে সঙ্ঘাতের মুখে স্পিকার ও রাজ্যপাল



নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও সঙ্ঘাতের আবহ রাজভবন ও বিধানসভা ভবনের মধ্যে। আদতে এই সঙ্ঘাত রাজ্যপাল বনাম বিধানসভার অধ্যক্ষ বা স্পিকারের। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল। তাই তিনি বিধানসভারও শীর্ষ প্রধান। আবার সংবিধান বিধানসভার স্পিকারদেরও স্বাধীন ক্ষমতা দিয়েছে যা কার্যত রাজ্য বিধানসভার সার্বভৌমত্বের প্রতীক। কিন্তু নানা ঘটনার জেরে দেখা যাচ্ছে বাংলার বিধানসভার স্পিকারের সেই ক্ষমতা কেড়ে নিতে উঠে পড়ে লেগেছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। কার্যত তাঁদের অঙ্গুলিহেলনেই যেমন সিবিআই ও ইডি রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষের ক্ষমতা ভূমিকাকে অগ্রাহ্য করে চলেছে তেমনি এবার রাজ্যপালও বিধানসভার স্পিকারের ক্ষমতাকে কেড়ে নিতে উঠে পড়ে লেগেছেন। আর সেই ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া নিয়েই এখন সঙ্ঘাতের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে স্পিকার ও রাজ্যপালের মধ্যে।  

রবিবার রাজ্যের ৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষিত হতে চলেছে। আবার আগামী নভেম্বর মাসেও রাজ্যের ৪টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হবে। এই ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের নবনির্বাচিত ৭ বিধায়কদের শপথ গ্রহণ করাবেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, সম্প্রতি রাজভবন থেকে একটি বার্তা এসেছে বিধানসভার সচিবালয়ে। সেই বার্তায় বলা হয়েছে, এর পর থেকে নির্বাচিত বিধায়কদের শপথগ্রহণ করাবেন রাজ্যপাল। আর তা নিয়েই বেঁধেছে বিবাদ। সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজভবনের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, সংবিধানের ১৮৮ ধারা অনুযায়ী লোকসভার ক্ষেত্রে সাংসদদের শপথগ্রহণ করানোর দায়িত্ব দেশের রাষ্ট্রপ্রতির। রাজ্য বিধানসভার ক্ষেত্রে সেই দায়িত্ব পান রাজ্যের রাজ্যপাল। কিন্তু প্রায় সব ক্ষেত্রেই সাংসদ বিধায়কদের শপথগ্রহণের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপাল দিয়ে দেন তাঁর মনোনীত ব্যক্তিকে। লোকসভার ক্ষেত্রে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয় স্পিকারকে। বিধানসভার ক্ষেত্রে রাজ্যপাল সেই দায়িত্ব দেন সংশ্লিষ্ট বিধানসভার স্পিকারকে। রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপালের দেওয়া সেই ক্ষমতা এ বার প্রত্যাহার করে নেওয়া হতে পারে।

রবিবার রাজ্যের যে ৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটগণনা হবে, তার মধ্যে রয়েছে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রও। সেখান থেকে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত তামাম ভারতের নজর আটকে রয়েছে এই কেন্দ্রের দিকে। বাকি দুটি কেন্দ্র হল সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর। এই ৩ বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী বিধায়কদের শপথ গ্রহণ করানো হতে পারে আগামী সপ্তাহেই। ঠিক তার আগে রাজভবনের চিঠি ও স্পিকারের শপথ গ্রহণ করাবার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার বার্তা কার্যত রাজভবন ও বিধানসভা ভবনের মধ্যে শুধু যে নতুন করে সঙ্ঘাতের জন্ম দিল তাই নয়, এই সঙ্ঘাতে জড়িয়ে যেতে চলেছে রাজ্য সরকারও। কেননা বড় কোনও অঘটন না ঘটলে ভবানীপুর থেকে যেমন মুখ্যমন্ত্রী জয়ী হতে চলেছেন তেমনি বাকি দুটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকেও তৃণমূলের প্রার্থীরাই জয়ী হতে পারেন। তাই এই তিন কেন্দ্রের শাসক দলের তিনি বিধায়ককে রাজ্যপাল শপথবাক্যে ঠিক কী পাঠ করাবেন আর স্পিকার যদি তাঁর ক্ষমতা ছাড়তে রাজী না হন তাহলে পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে তা সময়ই বলবে।



Published by:

Koushik Dey Sarkar

Share Link:

More Releted News:

পুরসভাতে হাতাহাতির ঘটনায় দুই কাউন্সিলর শোকজের জবাব দিলেন

সেরা পুজো বাছাইয়ের ভার দর্শকদের হাতে ছাড়ছে কলকাতা পুরসভা

দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরলেন অভিষেক, রক্ষাকবচ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন না

কলেজ স্ট্রিটে বর্ণপরিচয় মার্কেট ও মেডিকেল কলেজে হানা

একই দিনে ডেঙ্গু প্রাণ কাড়ল মোট চারজনের

হাওড়ার মাছ বাজারে বাংলাদেশের ইলিশের বেচাকেনা শুরু

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর