নিজস্ব প্রতিনিধি: বুধবার আবারও বিধানসভা (BIDHAN SABHA) থেকে ওয়াকআউট করলেন বিজেপি (BJP) বিধায়করা। তা নিয়ে তৃণমূলের (TMC) কটাক্ষ, ‘ওয়াক আউট পার্টি বিজেপি’। এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব এনেছিলেন তৃণমূল বিধায়করা (MLA)। তারই প্রতিবাদে ওয়াক আউট করল বিজেপি।
বুধবার বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনে তৃণমূল। নিন্দা প্রস্তাব আনা হয় বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিধানসভার বাইরে বিধানসভার বিল নিয়ে আলোচনা করা ঠিক না। এই কাজ অনৈতিক। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বাকি বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে এই নিন্দা প্রস্তাব। তারপরেই ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। বিজেপির দাবি, ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশম্যান্ট বিলের বিরোধিতা করেই তাঁরা ওয়াকআউট করেছেন।
বুধবার তৃণমূলের বিধায়করা বিধানসভায় বলেন, বিধানসভায় পাশ হওয়া কোনও বিল নিয়ে মন্তব্য থাকলে তা করা উচিৎ বিধানসভাতেই। বাইরে তা নিয়ে তির্যক মন্তব্য করা বা আলোচনা করা ঠিক না। বিজেপি বিধায়করা বিল পাশের পরেই দ্বারস্থ হচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। ছুটে যাচ্ছেন রাজভবনে। পাশ হওয়া বিল নিয়ে করা হচ্ছে মন্তব্য। তারই বিরোধিতা করে এই নিন্দা প্রস্তাব আনে তৃণমূল শিবির। যদিও বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আর তারপরেই বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে দেখাতে শুরু করে বিক্ষোভ।
উল্লেখ্য, গতকাল স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব করে বিল পাসের জন্য হয়েছিল ভোটাভুটি। তবে ভোটিং মেশিনে বিভ্রাট দেখা যায়। পরে ভোট গ্রহণ হয় চিরকুটে। ভোটিং মেশিনে বিভ্রাটের কারণে ভোট গণনা করা যায়নি। এদিনের বিল পাসের ভোটাভুটিতে ২ জন বিধায়ক অনুপস্থিত ছিলেন। ভোট দেননি ১ জন বিধায়ক। ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন বাম- কংগ্রেস সমর্থিত আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ। তিনি ভাঙড়ের বিধায়ক। প্রস্তাবের সমর্থনে ভোট পড়েছে ১৩৪ টি। বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৫১ টি। বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন ১৮৬ জন। চিরকুটের ভোট গণনা করে দেখা যায়, জয়ী হয়েছে শাসক দল। অবশেষে পাস হয়েছিল বিল। আর তারপরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে অগ্নিমিত্রা পাল সহ বিজেপি বিধায়করা দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যপালের।