এই মুহূর্তে




পুজোর আগে আনাজপাতির দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে বাজারে টাস্ক ফোর্সের হানাদারি

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: পুজোর আগে আনাজপাতির দাম নিয়ন্ত্রণে এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে বাজারে বাজারে শুরু হচ্ছে টাস্ক ফোর্সের(Task Force) হানাদারি। আমজনতার হাতে সঠিক মূল্যে আনাজ পৌঁছে দিতে রাজ্যে সুফল বাংলার(Sufal Bangla) স্টলের সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে। ডিভিসি-র ছাড়া জলে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বন‌্যা দেখা দিয়েছে। আর তারই প্রভাব পড়েছে কাঁচা আনাজের বাজারে। গত কয়েকদিনে আচমকাই বাড়তে শুরু করেছে জিনিসপত্রের দাম(Vegetables Price Rising)। আলু-পটল থেকে শুরু করে বেগুন, কাঁচালঙ্কা, সবেরই দাম বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে দাম নিয়ন্ত্রণে গতকাল অর্থাৎ সোমবার নবান্নে মুখ‌্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্নাও। একাধিক জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সও করা হয়। বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, রাজ্যে সুফল বাংলার স্টলের সংখ‌্যা আরও বাড়ানো হবে। সেই সঙ্গে মাঠে নামবে টাস্ক ফোর্স, যারা বাজারে বাজারে গিয়ে শাকসবজি ও আনাজপাতির দাম দেখবেন।

আরও পড়ুন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে থাকছেন না অনুব্রত, তবে হবে একান্তে আলোচনা

রাজ্যে এখন ৬২৬টি সুফল বাংলার স্টল থেকে ন‌্যায‌্যমূল্যে সবজি কিনতে পারছেন মানুষ। তার মধ্যে কলকাতাতেই আছে ২০০টি স্টল। পুজোর আগে তা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। একইসঙ্গে বাড়ানো হবে বাজারে বাজারে নজরদারি। রাজ্যের কৃষি দফতরের আধিকারিকদের দাবি, হুগলি, হাওড়ার বড় অংশের সবজি খেত জলের তলায় গেলেও তাতে সবজির জোগানে টান পড়ার কথা নয়। কারণ যে সমস্ত জেলা থেকে কলকাতায় সবজি-আনাজপাতি আসে, সেখানে বন‌্যা হয়নি। মানে দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া থেকে বেশি সবজি ঢোকে কলকাতায়। সেখানে বন‌্যার কোনও প্রভাব নেই। তাই হিসেবমতো দাম বাড়ার কথা নয়। অথচ বন‌্যার অজুহাতে একশ্রেণির ফড়ে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। পুজোর আগে এই দাম আরও বাড়ানোর চেষ্টা করবে ব‌্যবসায়ীরা। সেটাই নিয়ন্ত্রণ করতে টাস্ক ফোর্সের নজরদারি বাড়ানো হবে। খোলা বাজারে সব্জির অগ্নিমূল্য থেকে আম জনতাকে খানিক রেহাই দিতে নয়া নীতিও নিয়েছে নবান্ন। ‘চাষির দুয়ারে’ পৌঁছে তাঁর উৎপাদিত আনাজপাতি সরসারি সংগ্রহে নেমেছে রাজ্য। তার সফল প্রয়োগে বন্যাবিধ্বস্ত এলাকাসহ বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হচ্ছেন বলে দাবি রাজ্য প্রশাসনের।  

আরও পড়ুন, বঞ্চিত বাংলাকে Textile Cluster দিচ্ছে কেন্দ্র, রাজ্য গড়ে তুলবে Garments Park

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নির্দেশে বঙ্গবাসীকে সুলভ মূল্যে শাক-সব্জির জোগান দিতে চালু হয়েছিল ‘সুফল বাংলা’ প্রকল্প। গতবছরই এই স্টলের সংখ্যা ৩৫০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। যদিও তার অধিকাংশই ছিল পুর এলাকা এবং জেলা সদরগুলিতে। চলতি বছরের গোড়া থেকে পঞ্চায়েত এলাকা, ব্লক এবং মহকুমায় ন্যায্যমূল্যের এই সরকারি স্টল খোলা শুরু হয়। নয়া স্টলের জন্য স্থানীয় চাষিদের বাড়ি থেকে সরাসরি কৃষিজ দ্রব্য কিনছে সরকার। পরিবহণ ব্যয়, শ্রমিকের খরচ ছাড়াই উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রি করতে পারছেন চাষিরা। পাশাপাশি ফড়েরাজ খতম করে কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত আনাজের সর্বোচ্চ মূল্য পাচ্ছেন। সার্বিকভাবে চাষির সঙ্গে সরকারের সরাসরি যোগসূত্রে শহর থেকে গ্রাম—ক্রেতারা সুফল বাংলা স্টলে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারছেন। মাস তিনেক আগে বাজারে আলুর দাম কেজিতে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। সেই সময় নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ ও মালদায় চাষিদের বাড়ি থেকে আলু তুলে সুফল বাংলা স্টলে ৪০ টাকায় বিক্রি করেছে রাজ্য। সরকার গাড়ি ও শ্রমিক পাঠিয়ে চাষিদের বাড়ি থেকে ৩২ টাকা কিলো দরে আলু সংগ্রহ করেছে। এক্ষেত্রে কৃষকরা বিনাখরচে ও ঝক্কিহীনভাবে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পেরেছেন। তার সুফল পেয়েছেন সাধারণ নাগরিকরা। এই ব্যবস্থা ক্রমে ছড়িয়ে পড়ছে জেলাগুলিতেও।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সোমবার চতুর্থীতে অসুর হয়ে হাজির হচ্ছে বৃষ্টি, সঙ্গে রাখুন ছাতা

‘কুলতলির ঘটনাতে তিন মাসের মধ্যে ফাঁসির অর্ডার হোক, সেটাই চাই’, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

পার্ক স্ট্রিট থানায় মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারকে শ্লীলতাহানি

সরলেন বাবুন, এলেন সুজিত, পুজোর আবহেই বদল Hockey Bengal-এ

‘কর্মবিরতি করলেন আবার ৩২ হাজার টাকা স্টাইপেন্ডও নিলেন’, ডাক্তারদের নিশানা কল্যাণের

অসুর হয়ে হাজির বৃষ্টি, হকার- ব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর