নিজস্ব প্রতিনিধি: বেজে গিয়েছে পুরভোটের দামামা। নির্বাচনী নির্ঘন্ট প্রকাশ করার পড়েই শুরু হয়েছে উত্তেজনা। শুক্রবার সিপিএমের তরফে দুপুরে ও রাতে তৃণমূলের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে পুরভোটের প্রার্থী তালিকা। আর তারপরেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন প্রার্থীরা। শুক্রবার রাত থেকেই প্রচারে নেমে পড়েছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। দেওয়াল লিখন ও কর্মীদের নিয়ে প্রচার চলছে ওয়ার্ড ধরে ধরে। শুক্রবার রাত থেকেই নিজ ওয়ার্ডে প্রচার করছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক মুখোপাধ্যায়, মোনালিশা মুখোপাধ্যায়, অতীন ঘোষ, কাকলি সেন থেকে প্রায় সমস্ত তৃণমূল প্রার্থীই।
দলের ঝাণ্ডা হাতে, কর্মীদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার ও জনসংযোগে জোর দিয়েছে তৃণমূলের পুরভোটের প্রার্থীরা। সকাল থেকেই চলছে পুরোদস্তুর প্রচার। এদের মধ্যেই অনেকেই আবার হয়েছেন পুরভোটের প্রথমবারের জন্য প্রার্থী। যেমন তৃণমূলের জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় আচমকাই জানেন তিনি পুরভোটের প্রার্থী হচ্ছেন। শনিবার সকালেই মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘প্রার্থী হওয়ার ১০ মিনিট আগেও জানতাম না যে আমি প্রার্থী হচ্ছি। মিটিং থেকে বেরিয়ে দিদি যখন ঘরে এল, তখনও দিদি আমাকে কিছু বলেনি। অন্য একজন বলল, লিস্টে তোর নাম আছে। দিদি বাড়ি চলে এলে একেবারে ঘরোয়া, রাজনীতিটা বাইরেই থাকে। দিদি সবসময়ই ভালো কাজ করার পরামর্শ দেন, মডেল ওয়ার্ড তৈরি করার কথা বলেন।’
নিজের ওয়ার্ডেই ফের প্রার্থী হয়েছেন কাশীপুর-বেলঘাছিয়ার বিধায়ক অতীন ঘোষ। সকাল বেলাতেই নিজের ওয়ার্ডে দেওয়াল লিখে প্রচার শুরু করেছেন অতীন ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, ‘নিজের ঘরে মনোনীত হয়ে মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি স্বাভাবিকভাবেই খুশি।’ স্বামী পুরভোটে টিকিট না পেলেও স্ত্রীকে প্রার্থী করা হয়েছে। প্রথমবার পুরভোটে প্রার্থী হয়ে দেরী না করেই প্রচার শুরু করেছেন সাংসদ শান্তনু সেনের স্ত্রী কাকলি সেন। প্রতিক্রিয়াতে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি পেশায় একজন চক্ষু চিকিৎসক। এতদিন আমি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ঘর সামলেছি। কখনও ভাবিনি, আমি নির্বাচনে লড়ব। মানুষ উন্নয়ন দেখেছে।’
হাতে আর সময় নেই বেশি, তাই ১৯ ডিসেম্বরের লালবাড়ির লড়াইয়ে এখন থেকেই মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা।