নিজস্ব প্রতিনিধি: নভেম্বর মাসে বালিগঞ্জ বিধানসভা শূন্য করেই পরলোকে গমন করেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য গতবছরের ২৭ অক্টোবর সাংসদ পদে পদত্যাগ করেন বাবুল সুপ্রিয়। তাই ছ’মাসের মধ্যেই দুই আসনে ভোটগ্রহণের কথা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। এর মাঝেই গত রবিবার মানিকতলা বিধানসভার বিধায়ক সাধ পাণ্ডে প্রয়াত হন। অর্থাৎ সেই আসনও ফাঁকা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস চাইছে যদি বাকি দুই ফাঁকা আসনে উপনির্বাচন করাতে চাই জাতীয় নির্বাচন কমিশন তাহলে তার মধ্যে যুক্ত করা হোক মানিকতলাকে। এই মর্মে কমিশনেও যাবে তৃণমূলের বিশেষ দল।
কিন্তু শাসকদলের অন্দরেই জল্পনা তিন উপনির্বাচনী কেন্দ্রে প্রার্থী কারা হবেন? এর মাঝে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে একাধিক ব্যক্তির নাম। তারকা থেকে প্রশাসক মহলের নাম রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata banerjee) মাথায়। সূত্রের খবর, বালিগঞ্জ আসনে তৃণমূল নেত্রী প্রার্থী করতে চাইছেন এমন একটা ব্যক্তিকে যিনি প্রশাসনিক লেভেলে দক্ষ। কারণ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের(Subrata mukherjee) প্রয়াণে রাজ্যের মন্ত্রিসভায় তৈরি হয়েছে বিরাট শূন্যতা। যা ভরাট করতে প্রশাসনিক কোনও কর্তারা নাম মাথায় রেখেছেন তৃণমূল নেত্রী। শোনা যাচ্ছে ওই আসনে প্রার্থী হতে পারেন রাজ্যের প্রাক্তন এক মুখ্যসচিব। আবার শাসকদলের অন্দরে মণীষ গুপ্তের নাম ঘোরাফেরা করছে। কারণ এর আগে মমতার মন্ত্রিসভায় বিদ্যুৎ দফতর সামলেছেন রাজ্যের এই প্রাক্তন আমলা। তাই তাঁকে বালিগঞ্জের মত গুরুত্বপূর্ণ আসনে রাখতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব। জল্পনায় ভাসছে অভিনেত্রী ঋতুপর্না সেনগুপ্তের(Rituparna sengupta) নামও। সোমবার রাজ্যের বিধানসভায় প্রাক্তন প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডেকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে একান্তে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ সারেন টলিউডের অভিনেত্রী। যদিও এটাকে তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেই উল্লেখ করেছেন।
আসানসোল লোকসভার ক্ষেত্রে তৃণমূল নেত্রীর টার্গেট হিন্দি ভাষী ভোট। সেক্ষেত্রে প্রাক্তন বিশ্বকাপার কীর্তি আজাদের নাম নিয়ে জল্পনা রয়েছে। যিনি কিছুদিন আগেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আবার আসানসোলে নাম ভাসছে তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেত্রী সায়নী(Sayani Ghosh) ঘোষের। রাজ্য রাজনীতিতে যিনি সাংসদ তথা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। তাই সায়নীর(Sayani Ghosh) নামও রয়েছে তালিকায়। মানিকতলা বিধানসভার ক্ষেত্রে সাধন কন্যা শ্রেয়া পাণ্ডে’র নাম স্থির হলেও জল্পনা রয়েছে প্রাক্তন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়’র(Babul supriyo)। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে বাবুলে আসার শর্তই ছিল প্রথম একাদশে থাকা অর্থাৎ মন্ত্রিসভায় প্রবেশ। সেই দিকে মানিকতলা আসনে বাবুলের(Babul supriyo) জন্য বরাদ্দ হতে পারে। এইদিকে বাবুলের অ্যাডভান্টেজ রয়েছে মানিকতলায়, কারণ কাঁকুড়গাছিতে আদি বাড়ি রয়েছে এই তারকা নেতার। সেক্ষেত্রে মানিকতলায় বাবুলের ভোটে দাঁড়ানো কোনও আশ্চর্যের কারণ নাও হতে পারে।