নিজস্ব প্রতিনিধি: হাতে সময় নেই বললেই চলে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতায় পুরভোট, আর দলের সমস্ত প্রার্থীদের ‘ভোকাল টনিক’ দিতে আসরে নেমেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার অর্থাৎ আজ দুপুর ৩ টেয় তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন অভিষেক। উন্ননয়নের ও কাজের নিরিখে কলকাতা পুরসভার ভোট নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে থাকলেও হাল্কা চালে ভোটকে নিতে নারাজ ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তাই দলের ১৪৪ জন প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন অভিষেক।
ঠিক কী কী বার্তা দেবেন নিজের দলের পুরভোটের প্রার্থীদের? তৃণমূল সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করাই লক্ষ্য। কোনওরকম অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না, বিরোধীদের করা কোনওরকম অপপ্রচারে পা দিতে নিষেধ করা হবে দলের তরফে। অতি উৎসাহে কর্মীরাও যাতে সংযম না হারান, সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন নিবিড় জনসংযোগ বাড়াতে নির্দেশ দেওয়া হবে দলীয় কর্মীদের। স্থানীয় এলাকার উন্নয়নে জোর দেওয়ার পাশাপাশি সবরকমভাবে রাজ্য সরকারের স্কিমগুলিকেও প্রচারের আলোয় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে ঘটনা ঘটেছিল রাজ্যে। তা ভালো চোখে দেখেনি রাজ্যবাসী, যার হাতেনাতে ফল ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে পায় তৃণমূল। তাই কলকাতা পুরভোটে কোনওরকম অশান্তি যাতে না হয় তাতেই বেশি জোর দিচ্ছে শাসকদল। এছাড়াও কলকাতা পুরভোটে অশান্তি হলে ধাক্কা পড়তে পারে রাজ্যের বাকি পুরসভার নির্বাচনে। যাকে হাতিয়ার করে বিরোধীরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে যাতে ক্ষুদ্ধ হতে পারে আমজনতা।
জানা গিয়েছে, অভিষেকের তরফে দলের সমস্ত প্রার্থীদের জানানো হতে পারে, রাজনৈতিকভাবে বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএম একজোট হয়ে রাজ্য সরকারের বিরোধীতা করছে, তা সাধারণ মানুষকে আরও বেশি করে বোঝাতে হবে। দলের সব সংগঠন, শাখা সংগঠন, গণ সংগঠনকে একসূত্রে বেঁধে প্রচার করতে হবে। যাদের কোনও অভিমান রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে প্রচারে সামিল করতে হবে। অর্থাৎ কোনওভাবেই কোন্দল বরদাস্ত করবে না নেতৃত্ব। অর্থাৎ জয় একপ্রকার নিশ্চিত জেনেও হাল্কা ভাবে কলকাতা পুরভোটকে নিতে চাইছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই শনিবার প্রার্থীদের বিশেষ বার্তা দিতে দুপুর ৩ টের সময় বৈঠকের ডাকা হয়েছে তৃণমূলের তরফে।