নিজস্ব প্রতিনিধি: মাসিক চুক্তির ভিত্তিতে পশু- পাখি দত্তক দেওয়া চালু করেছিল আলিপুর চিড়িয়াখানা (Alipur Zoo) কর্তৃপক্ষ। আর তাতেই মিলেছে ব্যাপক সাফল্য। জানা গিয়েছে, ৬ মাসে ৯০- এর বেশি প্রাণি দত্তক নেওয়া হয়েছে। আর আলিপুরের দফতরে জমা হয়েছে প্রায় ১৩ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা।
২০১৫ সাল থেকেই দেওয়া হত দত্তক, তবে তা বার্ষিক চুক্তির হারে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে মাসিক চুক্তির ভিত্তিতে দত্তক দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রায় ১৮ হেক্টর জমিতে রয়েছে ১ হজার টিরও বেশি বন্যপ্রাণ। আগে বাঘ- সিংহ বা হাতি দত্তক নিতে বছরে দিতে হত প্রায় ২ লক্ষ টাকা। চিতা বা জিরাফের জন্য ১ লক্ষ টাকা। আবার বাঘরোল, শিম্পাজি বা জেব্রার জন্য ৩০ হাজার টাকা। অ্যানাকোন্ডা ও এমু পাখির জন্য ২৫ হাজার ও ১০ হাজার টাকা। এখন এই সব প্রাণি মাসিক চুক্তির ভিত্তিতেও দত্তক নেওয়া যায়। দত্তক নেওয়া যায় অনলাইনে ও অফলাইনে। মাসিক চুক্তিতেই দত্তক বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। হাওড়া সিটি পুলিশ কমিশনার দত্তক নিয়েছেন একটি হায়না। তিনি অবশ্য বার্ষিক চুক্তিতেই দত্তক নিয়েছেন। এভাবেই শিম্পাঞ্জি, পেঁচা, ইগুয়ানা, হাতি, অ্যানাকোন্ডা, ক্যাঙ্গারু দত্তক নেওয়া হয়েছে। তবে এখন বাঘ- সিংহ দত্তক নেওয়ার পরিমাণ কমেছে। আর যাদের দত্তক দেওয়া হয় তাদের নাম শুনবেন? কারও নাম বাবু, কারও নাম রানি। ছটু, মস্তান, তিমির, শ্রুতি, পুঙ্গা কত নাম! কোনও ক্যাঙ্গারুর নাম মেলোনপান আবার কোনও সিংহের নাম বিশ্বাস!এভাবেই দত্তক নেওয়া হয়েছে শিম্পাঞ্জি, হাতি, অ্যানাকোন্ডা, ইগুয়ানা, পেঁচা আরও কত কী!
নেবেন না কি, আপনিও? নিয়মটা কেমন? দত্তক নিতেই পারেন মাসিক চুক্তিতে। তবে তার মানে বাড়ি নিয়ে যাওয়া নয়। পশু বা পাখি থাকবে চিড়িয়াখানাতেই। আপনি আসতে পারেন, দেখা করতে পারেন। পারেন জন্মদিন বা বিশেষ দিন পালন করতে। দত্তক নিলে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ অভিভাবক- অভিভাবিকাদের ৪ টি কমপ্লিমেন্টরি পাস দেয়। দেওয়া হয় একটি সার্টিফিকেট। আর ওই প্রাণির খাঁচার সামনে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় অভিভাবক- অভিভাবিকার নাম। এর বদলে নিতে হয় প্রাণিটির আর্থিক খরচ বহনের ভার।