এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

দলের মুখরক্ষার্থে দুর্গাপুজো নিয়ে টুইট মালব্যের! হাসছে বাঙালি

নিজস্ব প্রতিনিধি: দুর্গাপুজো তুমি কার? বিজেপির না মমতার? কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচনী প্রচার যখন শেষ হচ্ছে ঠিক তখনই দুর্গাপুজো নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে রীতিমত যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এটা ঘটনা, তৃণমূল দুর্গাপুজোর সঙ্গে যেভাবে ওতঃপ্রত ভাবে জড়িত, বিজেপি তা কোনওভাবেই নয়। আর তাই দুর্গাপুজোর ইউনেস্কো স্বীকৃতি তৃণমূলের কাছে যতটা সাফল্য আর উদযাপনের বিজেপির কাছে ঠিক ততটাই উৎকণ্ঠার। কেননা তাঁরা ভোটে জিততে চেয়ে দুর্গাপুজো নিয়ে একাধিক মিথ্যা কথা বলে গিয়েছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আবহে। এখন তাঁদের আরও বড় মুখ পুড়েছে কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচনী আবহে দুর্গাপুজোর বিশ্বঐতিহ্যের স্বীকৃতি। সন্দেহ নেই এই সময়ে এই স্বীকৃতি তৃণমূলের হাত যতটা শক্ত করে দিয়েছে বিজেপির মুখ ঠিক ততটাই পুড়িয়েছে। পরিস্থিতি প্রতিকূল বুঝেই এবার বিজেপির নেতারা নেমে পড়েছেন ড্যামেজ কন্ট্রোলে। তারই অঙ্গ হিসাবে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য কার্যত দলের মুখরক্ষার্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানলেন টুইট করে, যা দেখে হাসছে বাঙালি।

অমিতের দাবি, দুর্গাপুজোর বিশ্বঐতিহ্যের স্বীকৃতি এসেছে মোদি সরকারের উদ্যোগের কারনে। সেখানে তৃণমূল বা রাজ্য সরকার কিংবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও ভূমিকা নেই। যদিও বাস্তব এটাই যে মোদি সরকার দেশের ক্ষমতায় আসার অনেক আগেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার কলকাতার দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর বিশ্বঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করতে প্রচেষ্টা শুরু করে দিয়েছিল। কিন্তু অমিত সে সবের মধ্যে যাননি। বাংলার নানা উন্নয়নমূলক পরিকাঠামো তুলে ধরে ঠিক যেমন ভাবে বিজেপি শাসিত নানা রাজ্যের সরকার কিংবা কেন্দ্র সরকার সেগুলি নিজেদের করা উন্নয়ন বলে চালাতে চাইছে এখন তেমনই অমিত মালব্য দাবি করছেন দুর্গাপুজোর বিশ্বঐতিহ্যের স্বীকৃতির জন্য মোদি সরকারই উদ্যোগ নিয়েছে। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। আর এই জলজ্যান্ত মিথ্যা দাবিকে দেখেই এখন হাসছে বাঙালি।

ঠিক কী বলেছেন অমিত? টুইটে মালব্য লিখেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনি কিছু করেননি। আপনি এই পুরস্কার পাননি। এই সম্মান ভারত পেয়েছে, বাংলার মানুষজন পেয়েছেন। এই সম্মানের জন্য দুর্গাপুজোর প্রস্তাব পাঠিয়েছিল মোদী সরকারের অধীনস্ত একটি সংস্থা সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি। আপনি দুর্গাপুজোকে ধ্বংস করার জন্য সমস্ত প্রয়াস করেছেন।’ বাঙালি মাত্রই জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলনেত্রী থাকাকালীন সময় থেকেই কলকাতার দুর্গাপুজোর সঙ্গে ওতঃপ্রত ভাবে জড়িত। তাঁকে ঘিরে অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, দেবাশিষ কুমার, বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুজিত বসু, মদন মিত্র, শশী পাঁজা, অতীন ঘোষ, পরেশ পাল এবং সদ্য প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়রা কলকাতার কোন কোন হেভিওয়েট পুজোর সঙ্গে জড়িত তা কলকাতাবাসী জানেন, পুজোপাগলরা জানেন, পুজোপ্রেমীরা জানেন। তাই কলকাতার দুর্গাপুজোর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেস, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কতখানি জড়িত সেটা নতুন করে প্রমাণ করার কোনও প্রয়োজন নেই। শুধুই বিজেপিকে মনে করিয়ে দেওয়া ভাল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারই ক্লাবে ক্লাবে টাকা দিয়েছেন কোভিডের মধ্যেও যাতে দুর্গাপুজোর ঐতিহ্য বজায় রাখা যায়। সঙ্গে দিয়েছেন বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে ছাড়। বিজেপি বরঞ্চ সেই সব আটকাতে আদালতে মামলা ঠুকেছিল। দুর্গাপুজ বন্ধ করে দিতে কোভিডকালে অতিবড় সচেতক নাগরিক হিসাবে অন্যদের দিয়ে হাইকোর্টে মামলা ঠুকেছিল। এখনও রাজ্যের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁরা মামলার পর মামলা ঠুকে চলেছে সব কিছু আটকে দেওয়ার জন্য। তাই বাংলার পরিকাঠামোকে নিজেদের করা উন্নয়ন বলে তুলে ধরে বারে বারে যেমন বিজেপির মুখ পুড়ছে তেমনি দলের মুখ রক্ষা করতে গিয়ে টুইতে মমতাকে আক্রমণ করে আদতে বিজেপির মুখই বেশি করে পুড়িয়ে দিলেন অমিত মালব্য। করে বসলেন আত্মঘাতী গোল। 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ ২ মে, উচ্চমাধ্যমিকের ৮ তারিখ

রেকর্ড গরম কলকাতায়, ৫০ বছরের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

আলিপুর চিড়িয়াখানায় নতুন সদস্য, বিশাখাপত্তনম থেকে এল সাদা বাঘ

জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার দিন চলবে অতিরিক্ত মেট্রো, জেনে নিন সময়সূচি

২৬ হাজার চাকরিহারা পাবেন এপ্রিল মাসের বেতন, জানাল শিক্ষা দফতর

২ মাসের মধ্যে ৮৬৭ শূন্যপদে দিতে হবে চাকরি, প্রাথমিকে নিয়োগে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর