নিজস্ব প্রতিনিধি: গত দু’বছরে করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের মাঝেই রাজ্যের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে আমফান ও যশ। যার ফলে ক্ষতি হয়েছে বসতবাড়ির। এরই সঙ্গে ক্ষতির মুখে পড়েছে একাধিক স্কুল বাড়ি। ঠিক কত সংখ্যক স্কুল বাড়ি পড়েছে ক্ষতির মুখে? তার একটি হিসেব দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মঙ্গলবার বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু প্রশ্ন-উত্তর পর্বে জানিয়েছেন, গত দু’বছরে বাংলায় দুই ঘূর্ণিঝড় আমফানের কবলে পড়ে ক্ষতি হয়েছে, ১৪,৬৪০ টি স্কুলবাড়ি। ঘূর্ণিঝড় যশের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪,৫২৫ টি বিদ্যালয়।
প্রশ্ন-উত্তর পর্বে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয় গুলিকে মেরামত করার জন্য কী পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার? উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, বিদ্যালয় গুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে ইতিমধ্যেই বিভিন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ক্লাস রুম, রান্নাঘারের চাল, শৌচাগার, সীমানা পাঁচিল, পানীয় জলাধারের মেরামতি হয়েছে। এক্ষেত্রে শিক্ষা দফতর, মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর, অনগ্রসর জাতি কল্যান দফতর ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতর মিলিয়ে মোট ৫৬ কোটি ২৫ লক্ষ ২৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল আমফানের সময়। যশে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয় গুলিতে দ্রুত মেরামতির জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা শাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য ৮৪ কোটি ৩৩ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল।
দার্জিলিং- বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জানতে চাওয়া হয়, যার উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী জানান, শৈল্যশহরের মংপুতে গড়া হবে। এদিনের প্রশ্ন-উত্তর পর্বে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষে উচ্চশিক্ষা দফতরের অধীনস্থ ১৪০০ টি ডিগ্রি কলেজ রয়েছে। যার মধ্যে সরকারি কলেজের সংখ্যা ৬৭ টি, সরকার পোষিত কলেজের সংখ্যা ৪৫০ টি ও সরকার অনুমোদিত ব্যক্তি মালিকানাধীন কলেজের সংখ্যা ৮৮৩ টি।