নিজস্ব প্রতিনিধি: শহরের প্রতিটি হিন্দু কবরস্থানে একটি করে ডগ পাউন্ড তৈরি করা হবে । শুক্রবার একটি অ্যাম্বুলেন্স উদ্বোধনের এই কথা ঘোষণা করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim)। এদিন কলকাতা পৌর সংস্থার সদর দফতরের সামনে কলকাতা দক্ষিণের সাংসদ এবং চেয়ারপার্সন মালা রায়ের সাংসদ তহবিলের অর্থে কেনা পাঁচটি পশু চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যাম্বুলেন্সের উদ্বোধন করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা দক্ষিণের সাংসদ মালা রায়, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ , পৌর কমিশনার বিনোদ কুমার সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সহ স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা।
এদিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানান যে ,আগে আমরা চারটে অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে কাজ করতাম। চেয়ারপার্সন মালা রায়ের(Mala Roy) উদ্যোগে আরো ৫টি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ায়, মোট ৯ টি অ্যাম্বুলেন্স হল। মালা রায় চেয়ারপার্সন তিনি নিজের সাংসদ তহবিল থেকে ৫ টি অ্যাম্বুলেন্সের প্রদান করেছেন। অতীন ঘোষ বলেন, মোট ৪৪ লক্ষ টাকার বরাদ্দ করা হয়েছে এই পশু অ্যাম্বুলেন্সের জন্য। তিনি বলেন অনেক সময় দেখা যায় যে অনেক নাগরিকের পক্ষ থেকে পৌর কর্মীদের বাধার মুখে সম্মুখীন হতে হয়। আমরা কুকুরদের টিকাকারণ করার জন্য নিয়ে যাই।সেই জায়গা থেকে নিয়ে আসার পর আবার সেই জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হয়। পশু আইন অনুযায়ী এখন পর্যন্ত পশু নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রায় ২৩ হাজার কুকুরকে টিকাকরন করা হয়েছে বলে জানালেন ডেপুটি মেয়র(Deputy Mayor) ও মেয়র পরিষদ স্বাস্থ্য বিভাগ অতীন ঘোষ(Atin Ghosh)। অন্যদিকে সাংসদ তথা কলকাতা পৌর সংস্থার চেয়ারপার্সন মালা রায় জানান, যে ৫ টি পশু অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হচ্ছে, আমার মনে হয়েছিল যে আমাদের যেমন বাঁচার অধিকার আছে, সেই ভাবে পশুদেরও বাঁচার অধিকার আছে।
কুকুরদের নিরবিচকরণ করে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। গাড়ির অভাবে অনেক সময় আমরা ঠিক সময় পশুদের নিয়ে আসতে সমস্যা হত। তাই এই পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে সেই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি। এদিন অনুষ্ঠানে অ্যাম্বুলেন্সের(Ambulance) প্রতীকী ছবি মেয়রের হতে তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন , আমাদের পৌর সংস্থার পথ কুকুর একটা বড় সমস্যা। অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে নিবিচিকারণ করার জন্য লাগানো হয়েছিল। কিন্তু তাদের সংখ্যা খুবই কম। আমরা যখন দেখি যে অবহেলায় পথ কুকুর এর মৃত্যু হয় সেটা অনেক দুঃখজনক। অনেক কুকুর প্রেমীরা কুকুর দের খাবার দেন । কিন্তু যখন তাদের গর্ভপাত হয়, তখন তাদেরকে দেখেন না সেই সব কুকুর প্রেমী। কুকুরের জনসংখ্যা প্রায় ৮৮ হাজার । অনেক নিরবিচিকারণ করতে হবে। তাদের জন্ম প্রায় কয়েক বার হয়ে যায়। মালা রায় উপলব্ধি করেছেন তাই তিনি সাংসদ তহবিল থেকে টাকা দিয়েছেন।কলকাতা পৌর সংস্থার(KMC) ইতিহাসে এটা কুকুরের জন্য একটা বড় পদক্ষেপ বলেন মেয়র। তিনি বলেন যে, হিন্দু কবরস্থানের পিছু একটা জায়গায় আছে যেখানে প্রাণী সম্পদ দফতর আর্থিক সাহায্য করবে বলে জানিয়েছে। সেখানে একটা ডগ পাউন্ড করা হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া অ্যাম্বুলেন্স ও খুব স্বল্প মূল্যে মাত্র ২০০ টাকা করে দেওয়া হয় বলে জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এদিন পতাকা দেখিয়ে এই পাঁচটি পশু অ্যাম্বুলেন্সের শুভসূচনা করেন অনুষ্ঠানে হাজির মেয়র সহ সমস্ত অতিথিবৃন্দ।