এই মুহূর্তে




তৃণমূলে বড়সড় রদবদল, জেলা সভাপতির পদ হারালেন অনুব্রত মণ্ডল




নিজস্ব প্রতিনিধি: সব জল্পনার অবসান। বিধানসভা ভোটের এক বছর আগেই সংগঠনে বড়সড় রদবদল ঘটালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কয়েকটি জেলায় জেলা সভাপতির পদ বিলুপ্ত করে কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে। ডানা ছাঁটা হয়েছে গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের। দীর্ঘ ৯ বছর বাদে তাঁকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে। উত্তর কলকাতার জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বাঁকুড়া জেলা সভাপতির পদ থেকেও অপসারিত হয়েছেন সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী।

আজ শুক্রবার (১৬ মে) তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে সাংগঠনিক স্তরে রদবদলের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
ঘোষণা অনুযায়ী, উত্তর কলকাতার জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সাংগঠনিক কাজকর্ম দেখার জন্য ১০ সদস্যের কোর কমিটি করা হয়েছে। কোর কমিটির চেয়ারপার্সন করা হয়েছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বাকি ৯ সদস্য হলেন অতীন ঘোষ, জীবন সাহা, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, পরেশ পাল, ডঃ শশী পাঁজা, সুপ্তি পাণ্ডে, স্বপন সমাদ্দার, স্বর্ণকমল সাহা, বিবেক গুপ্তা। দমদম-বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদে বসানো হয়েছে পার্থ ভৌমিককে। আর চেয়ারপার্সন করা হয়েছে বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষকে। বসিরহাট সাংঠনিক জেলার নতুন সভাপতি  হয়েছেন সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়। সভাপতি হয়েছেন বুরহানুল মুকাদ্দিম (লিটন)। দক্ষিণ ২৪ পরনার ডায়মন্ডহারবার-যাদবপুর সাংঠনিক জেলার চেয়ারপার্সন পদে বসানো হয়েছে অশোক দেবকে। সভাপতি পদে রয়ে গিয়েছেন শুভাশিস চক্রবর্তী। সুন্দরবন সাংঠনিক জেলার চেয়ারপার্সন করা হয়েছে  নমিতা সাহাকে। সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন জয়দেব হালদার।

আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পদে বহাল রইলেন তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায়। চেয়ারপার্সন পদে স্বপন নন্দীর জায়গায় এলেন সাংসদ মিতালি বাগ।

পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি পদে রয়ে গিয়েছেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। জেলা চেয়ারম্যান করা হয়েছে জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিংকে। আগে জেলা চেয়ারম্যান পদে ছিলেন কুলটির প্রাক্তন বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। বহরমপুর- মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলাতেও চেয়ারম্যান পদে বদল আনা হয়েছে।  বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীর পরিবর্তে নতুন চেয়ারম্যান হলেন হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখ। তবে জেলা সভাপতি হিসেবে রেখে দেওয়া হয়েছে কান্দির প্রাক্তন বিধায়ক অপূর্ব সরকার ওরফে ডেভিডকে।

উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলাতেও সাংগঠনিক রদবদল করা হয়েছে। দার্জিলিং জেলা সমতলে তৃণমূলের জেলা চেয়ারপার্সন পদে অলোক চক্রবর্তীকে সরিয়ে আনা হয়েছে সঞ্জয় টিবরেওয়ালকে। জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে পাপিয়া ঘোষকে। জেলা সভাপতি পদের দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে তা অবশ্য পরে জানানো হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন হলেন চৈতালি সরকার। তিনি খুন হওয়া তৃণমূল নেতা বাবলা সরকারের স্ত্রী। চৈতালি দেবী বর্তমানে ইংলিশবাজার পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এর আগে মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান ও জেলা সভাপতি পদে কোনও বদল করা হয়নি। জেলা চেয়ারম্যান পদে গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা এবং জেলা সভাপতি পদে সাংসদ প্রকাশচিক বরাইকেই পুনর্বহাল করা হয়েছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কলকাতা বিমানবন্দর এলাকা থেকে ধরা পড়ল ভগবানগোলায় স্বামীকে খুনের ঘটনায় স্ত্রী ও প্রেমিক

বর্ধমানের পালসিট মোড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত ১

ভগবানগোলায় স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, খুনের অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী

বিমান দুর্ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি ফিরহাদের

ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার জামিন আর্জি খারিজ জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের

দত্তপুকুরে জলাশয় থেকে বাস কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ