নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপিকে চার গোল দিয়ে সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচনে জয় জয়কার হয়েছে তৃণমূলের। শান্তিপুর, দিনহাটা, গোসাবা ও খড়দহ আসনে রেকর্ড জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই নবনির্বাচিত বিধায়কদের আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার শপথবাক্য পাঠ করানো হবে বলে বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। আর সেই নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য স্পিকার নয় ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আগামিকাল বিধানসভায় নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন না রাজ্যপাল। সেই দায়িত্ব তিনি নিজে থেকে দিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর এতেই মনে করা হচ্ছে ফের একবার রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাতের রাস্তা তৈরি হল। দুর্গাপুজোর আগে ভবানীপুর উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের পর তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করাতে স্পিকারের সঙ্গে অশান্তিতে জড়ান রাজ্যপাল ধনকড়। তারপরেই একাধিক চিঠি চালাচালি ও ক্ষোভ-বিক্ষোভের পর বিধানসভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী সহ বাকি দুই নবনির্বাচিত বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল ধনকড়। তবে আগামিকাল তিনি থাকবেন না বলেই সোমবার জানিয়ে দিয়েছেন।
এখন প্রশ্ন হল, স্পিকার উপস্থিত থাকাকালীন কীভাবে রাজ্যপাল নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে ডেপুটি স্পিকারকে এই দায়িত্ব দিলেন? প্রশ্ন উঠতেই পারে। কোচবিহারের দিনহাটায় রেকর্ড ভোটে জিতেছেন তৃণমূলের প্রার্থী উদয়ন গুহ। খড়দহে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, শান্তিপুরে ব্রজকিশোর গোস্বামী ও গোসাবায় সুব্রত মণ্ডল জয়লাভ করেছেন। জানা গিয়েছে, যেদিন উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়, সেদিনই নবনির্বাচিত বিধায়কদের দ্রুত শপথগ্রহণের আর্জি জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছিল তৃণমূল পরিষদ দল। আগামিকাল মঙ্গলবার বিধানসভায় হবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। সংবিধান অনুযায়ী বিধানসভায় বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার। কিন্তু বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগে শপথ বাক্য পাঠ করাতে পারেন রাজ্যপাল। কিন্তুই তাঁর অনুপস্থিতিতে স্পিকারই বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন এটাই রীতি। কিন্তু স্পিকারকে সেই দায়িত্ব না দিয়ে ডেপুটি স্পিকারকে বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করানোর নির্দেশ দেওয়ায় রাজ্যপালের উপর ক্ষুদ্ধ স্পিকার। সূত্রের খবর, এই বিষয়ে চিঠি দেওয়ার চিন্তাভাবনা করেছে পরিষদীয় দল।