নিজস্ব প্রতিনিধি: দুই কিশোরকে অপহরণ করে খুন করার ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাগুইআটি থানার আইসি কল্লোল ঘোষকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কেন দুই কিশোরকে খুন করা হল, মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী কেন দুই কিশোরকে খুন করল। তার কারণ নিয়ে আলোচনায় উঠে আসছে ত্রিকোণ সম্পর্কের তত্ত্ব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অতনু দে নামের ওই কিশোরের বাড়ির কাছেই সত্যেন্দ্রর শ্বশুরবাড়ি। আদতে বিহারের বাসিন্দা সত্যেন্দ্র শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে থাকতেন। সত্যেন্দ্রর স্ত্রী পুজাকে অতনু দিদি বলে ডাকত। বাড়ির কাছে পুজার বাড়িতে প্রায়শই যাতায়াত ছিল অতনুর। পুজার সঙ্গে মেলা মেশা ভালোভাবে চোখে দেখেনি সত্যেন্দ্র। সেই কারণে কী খুন করা হয়েছে অতনুকে? যদিও এই বিষয়ে পুলিশের তরফে কিছু জানানো হয়নি। গোটাটাই অনুমান করা হচ্ছে। সত্যেন্দ্রকে জেরা করে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারবেন গোয়েন্দারা। যদিও এখনও পর্যন্ত সত্যেন্দ্রকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সত্যেন্দ্রর উদ্দেশ্য ছিল অতনু দেকে খুন করা। পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে প্রাণ খোয়াতে হয়েছে অভিষেক নস্করকে। কারণ এর আগে অতনুকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র। আর সেই কারণে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাকে একাধিকবার নানান অজুহাতে বাইরে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আগে তাকে প্রাণে মারতে সক্ষম হয়নি অভিযুক্ত। গত ১৮ অগস্ট অতনু ও তার আরেক বন্ধু সায়নকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল সত্যেন্দ্র। কিন্তু সেবারে সায়নের উপস্থিত বুদ্ধির জোরে প্রাণ বেঁচে গিয়েছিল দুজনের। কিন্তু শেষরক্ষা হল না, দুই কিশোরকে নৃশংসভাবে শ্বাসরোধ করে খুন করে অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র। অন্যদিকে এই ঘটনার পর নিজের স্ত্রী পুজাকে নিয়ে সরে যায় সত্যেন্দ্র। নিজেও গা ঢাকা দেয়। এই খুনের পেছনে সম্পর্কের কোনও টানাপোড়েন ছিল কি না তা এখনও তদন্তসাপেক্ষ।