নিজস্ব প্রতিনিধি: ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মহম্মদ জসিম উদ্দিনের আক্রান্তের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। তদন্তকারীরা তাদেরকে জেরা করে জানার চেষ্টা করছে এই ঘটনার সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত রয়েছে।
প্রসঙ্গত শুক্রবার কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কলকাতার বউবাজার এলাকা। ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মহম্মদ জসিম উদ্দিনকে রাস্তার মাঝেই বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে। জসিম উদ্দিনের অভিযোগ, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর আয়েষা কানিজের অনুগামীরাই তাঁকে মারধর করেছেন। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আয়েষা কানিজের স্বামী ইরফান আলি তাজ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার স্কুটারে চেপে জাকারিয়া স্ট্রিটে যাচ্ছিলেন জসিম উদ্দিনের ভাই। সেই সময় এক ব্যক্তিকে ধাক্কা মারার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এর পর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে শুরু হয় বচসা। যা গড়ায় হাতাহাতিতে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত জায়গায় পৌঁছলে তিনি স্থানীয় একটি বড়িতে ঢুকে যান প্রাণ বাঁচাতে। এর পর দাদা জসিম উদ্দিনকে ফোন করেন সেখান থেকে। এই খবর শুনে তড়িঘড়ি জসিম উদ্দিন বউবাজার থানায় ফোন করে সমস্ত ঘটনা জানান। পাশাপাশি নিজে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তাঁর সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় অনুগামীরা। এরপরই আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সেখানেই তাঁকে ঘিরে ধরে দেড়শো-দুশো জন বাঁশ-লাঠি, হকি স্টিক নিয়ে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। তাঁর অভিযোগ, হামলাকারীরা ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আয়েষা কানিজের অনুগামী। যদিও ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বউবাজার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এর পর এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।