এই মুহূর্তে




বালিগঞ্জে বাবুল, আসানসোলে শত্রুঘ্ন! প্রার্থী ঘোষণা মমতার




নিজস্ব প্রতিনিধি: বড় চমক দিলেন তৃণমূলসুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। রবি সকালে টুইট(Tweet) করে তিনি জানিয়ে দিলেন বালিগঞ্জ(Ballygunge) বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন বিজেপি ছেড়ে আসা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা গায়ক বাবুল সুপ্রিয়(Babul Supriya)। একইসঙ্গে ওই টুইটে জানিয়ে দিলেন আসানসোল(Asansol) লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের(TMC) প্রার্থী হচ্ছেন মোদির অন্যতম ‘না পসন্দ’ ‘খামোশ’ ব্যক্তিত্ব তথা অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা(Shatrughna Sinha)। বাবুলকে যে বাংলার রাজনীতিতে টেনে এনে মন্ত্রীত্ব প্রদান করা হতে পারে এমন জল্পনা দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। তাই বালিগঞ্জে বাবুলের নাম ঘোষনা সে অর্থে বড় কোনও চমক নয়। তবে শত্রুঘ্ন সিনহার নাম নিঃসন্দেহে জাতীয় রাজনীতিতে একটা বড় চমক। একইসঙ্গে মমতার এই ঘোষণা বিজেপিকে বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিল। কেননা মোদি একদমই পছন্দ করেন না শত্রুঘ্নকে। এখন তাঁর অপছন্দের পাত্রকে লোকসভায় পাঠিয়ে তৃণমূল কার্যত অস্বস্তির মুখে ফেলে দিচ্ছে ছাপান্ন ইঞ্চির ছাতিকে।

একই সঙ্গে বাবুল ও শত্রুঘ্নকে প্রার্থী করে রাজ্য ও জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে পরোক্ষ ভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন তৃণমূলনেত্রী। কার্যত বিজেপি ও কংগ্রেসে থাকা অনেক ‘নাখুশ’ নেতানেত্রীদের দিকেই এদিন বার্তা তুলে ধরেছেন তৃণমূলনেত্রী এখন অনেকেই তা মনে করছেন। কেননা কংগ্রেসের একটি গোষ্ঠী কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিয়ে যথেষ্ট অসন্তুষ্ট। একই সঙ্গে বঙ্গ বিজেপির অনেক সাংসদই তৃণমূলে যোগ দিতে চান। তিনি সাংসদ পদ চলে যাবে এই আশঙ্কায় তাঁরা এখনই তৃণমূলে পা রাখতে চাইছেন না। দিন দুই আগেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে খোদ তৃণমূলনেত্রী জানিয়ে দেন তিনি যেন বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। দল তাঁকে আবারও জিতিয়ে আনবে বিধায়ক পদে। এখন বাবুল ও শত্রুঘ্নকে তুলে ধরে তৃণমূল সুপ্রিমো কার্যত কংগ্রেস ও বিজেপির বিক্ষুব্ধ শিবিরকে বার্তা দিলেন যে তাঁরা যদি তৃণমূলে যোগ দেন, তাহলে দলও তাঁকে দেখবে। ভুললে চলবে না সদ্য সদ্য বিজেপি ত্যাগী জয়প্রকাশ মজুমদার সাম্প্রতিক কালে জানিয়েছেন, বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলে আসতে চাইলেও তিনি সাংসদ পদ ধরে রাখতে চান। আর এই কারণেই তিনি এখনই বিজেপি ছাড়তে চাইছেন না। এখন মনে করা হচ্ছে মমতা কার্যত এক ঢীলে দুই পাখি মেরে দিলেন।  

বাবুল রাজনীতিতে পা রেখেছেন বিজেপির হাত ধরেই। ২০১৪ সালে প্রথমবার আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে বড় চমক দেন তিনি। সেই সময়ে মোদি তাঁকে কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রীও করেন। এরপর ২০১৯ সালে আবারও জয়ী হন বাবুল। কিন্তু তাঁর পদন্নোতি আর হয়নি। মোদি তাঁকে প্রতিমন্ত্রীই করে রেখে দেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়তেই মোদি বাবুলকে কেন্দ্রের মন্ত্রীত্ব থেকে সরিয়ে দেন। এর কয়েক মাসের মধ্যেই বাবুল যোগ দেন তৃণমূলে। অন্যদিকে শত্রুঘ্ন সিনহাও রাজনীতিতে পা রাখেন বিজেপির হাত ধরেই। অটলবিহারী বাজপেয়ীর সময়ে তিনি বিহারে কার্যত বিজেপির মুখ হয়ে উঠেছিলেন। হতে চেয়েছিলেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীও। কিন্তু কোনওবারই তাতে সায় দেয়নি দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। মোদি জমানার শুরু থেকেই দলে ক্রমশ কোনঠাসা হতে শুরু করেন শত্রুঘ্ন। মোদির নীতি ও সিদ্ধান্ত না মানতে পারার জায়গা থেকেই নিজেকে বিজেপি থেকে গুটিয়ে নেন শত্রুঘ্ন। এরপর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর যোগদান তৃণমূলে। এবার হচ্ছেন দলের প্রার্থীও। আরও একটি বিষয়, মমতা এমন একটা দিনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেন যেদিন কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটি ও ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক বসেছে। কার্যত মমতা এদিন কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীকেও বার্তা দিয়ে দিলেন শত্রুঘ্নকে তুলে ধরে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিধাননগরের ময়লা ফেলার জন্য পাথরঘাটায় নতুন ডাম্পিং স্টেশন হবে, ঘোষণা ফিরহাদের

দিঘায় মমতার উদ্যোগে জগন্নাথ মন্দির তৈরিকে স্বাগত অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার

‘এক দেশ, এক ভোট মানব না’ ফের হুঙ্কার মমতার

পাইকারি বাজারে আলুর দাম কমলেও মানিকতলা বাজারে বেশি দামে বিকোচ্ছে কাঁচামাল

ফের সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি, নতুন তারিখ কবে?

লাগামছাড়া গতিতে ‘রেড অ্যালার্ট’, রেষারেষি রুখতে ‘চাবিকাঠি’ থাকছে পরিবহণ দফতরের হাতে

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর