নিজস্ব প্রতিনিধি: বৈশাখীর সঙ্গে কেমন সম্পর্ক শোভনের? একটি চিঠিতেই সবটা নিজের শ্বশুড় অর্থাৎ দুলাল দাস ও স্ত্রী রত্না চট্ট্যোপাধ্যায়কে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন কানন। এবার সেই চিঠিই প্রকাশ্যে আনার দাবি জানালেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।সকলকে চমকে দিয়েই গতকাল রাতে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন তিনি বিবাহ-বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন। তাঁর স্বামী মনোজিৎ মণ্ডল অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন তাই ডিভোর্স চাইছেন তিনি। আর তারপরেই জল্পনা তৈরি হয় তাহলে কী শোভনের সঙ্গে বিয়ে করছেন বৈশাখী?
সেই প্রসঙ্গে রত্না চট্ট্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ‘শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হবে কিনা তা ভবিষ্যতেই দেখা যাবে। তবে শোভন এবং আমার সম্পর্ক একটা স্বপ্নের মতো। একটা সুন্দর স্বপ্নের মতো আমার প্রতিটা দিন কাটে।’ যার পাল্টা শোভনের বর্তমান স্ত্রী বৈশাখী জানিয়েছেন, ‘আমি ডিভোর্স দিলে তো শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বিয়ে করবেন। ওঁদের বিয়ে হবে কিনা তা আমার সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। বৈশাখী যেমন ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিজে নিয়েছেন, তেমনই আমি বিবাহবিচ্ছেদ চাই কি না সেই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত। এই জীবনে শোভন চট্টোপাধ্যায় ডিভোর্স পাবেন না। তাই বৈশাখী-শোভনের বিয়ের প্রশ্নই নেই।’
আর রত্না দেবীর এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়ে বৈশাখী জানিয়েছেন, ‘আমার এবং শোভনের সম্পর্কে রত্না কোনও কালে ডিসাইডিং ফ্যাক্টর ছিলেন না, হবেনও না। যখন শোভন চট্টোপাধ্যায় আমার নামে স্থাবর অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি লিখে দিয়েছিলেন তখন রত্না অভিযোগ তুলেছিলেন, আমি নাকি শোভনকে খুন করতে চাই। সেই সময় আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে বর্ণনা করে রত্না চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বাবাকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন শোভন। সাহস থাকলে সেই চিঠি প্রকাশ্যে আনুন রত্না দেবী। ওনার কাছে এই চিঠির বিষয়ে কোনও উত্তর নেই।’
বৈশাখী এও জানিয়েছেন, ‘একজন ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীকে কী লিখবে সেটা সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। রত্না চট্টোপাধ্যায় নিজেকে প্রাধান্য দিতে ভালোবাসেন। তাই আমার এবং মনোজিতের ডিভোর্সের খবর সামনে আসার পরেই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন।’