এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বৈশাখীকে বাড়ি বিক্রি করেছেন শোভন! কড়া প্রতিক্রিয়া রত্না-সপ্তর্ষির

 

নিজস্ব প্রতিনিধি: ফের প্রকাশ্যে সাংসারিক অশান্তি। শোভন-বৈশাখী ও রত্নার অশান্তি সংবাদমাধ্যমে মাথাচাড়া দিয়েছে বেহালার বাড়িকে কেন্দ্র করে। কিছুদিন আগেই বৈশাখী হুমকি দিয়ে জানান, বেহালার বাড়ি রত্না দেবীকে ছাড়তেই হবে, কারণ সেটা শোভন চট্ট্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তি। এর মাঝে রবিবার বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় আচমকাই দাবি করেন, ‘রত্নার সঙ্গে আইনি লড়াই চালাতে গিয়ে অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখে পড়তে হয়েছে। সেই সঙ্কট থেকে বাঁচতে আমার সাহায্য নিতে হয়েছে। আমাকে শোভন বাবু বলেছেন সেই আর্থিক সাহায্যের বদলে বেহালার পৈতৃক বাড়িটি নিতে। এমনিতেই আমি বলেছিলাম আমার যা আছে সব তোমার। কিন্তু ওনার আত্মসম্মানে লেগেছে, তাই ওনার বাড়ির বিনিময়ে আমার থেকে টাকা নিয়েছে। তাই ওই বাড়িটি এখন আমার নামে আর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বেহালার বাড়ির মালিক এখন আমি। তাই এবার ওই বাড়ি ছাড়ুন রত্না।’ যার পাল্টা দিয়েছেন বেহালা পূর্বের বিধায়ক তথা শোভনের বর্তমান স্ত্রী রত্না চট্ট্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি ভাবিনি যে এরকম একটা অকর্মণ্য-অপদার্থ লোককে আমি বিয়ে করেছিলাম। আমার মেয়েকে থাকতে দেবে, আমার ছেলেকে নাকি অনুরোধ করতে হবে – এরকম দুরবস্থা আমাদের এখনও আসেনি। আমি আইনের পথেই চলব। আমি আমার মৃত্যুর দিন পর্যন্ত এই বাড়িতেই থাকব। আমার ছেলে-মেয়ে আমার সঙ্গেই থাকবে আর এই বাড়িতেই থাকবে।’

রত্না দেবী এও জানিয়েছেন, ‘প্রয়োজনে ত্রিপল নিয়ে দুটো বাটি হাতে পর্ণশ্রী পোস্ট অফিসের বাইরে ভিক্ষে করব। কিন্তু ছেড়ে কথা বলব না আমি। উত্তরাধিকার সূত্রে যে সম্পত্তি বিক্রি করে দু-বেলা খেতে হচ্ছে, সেই কথা ভেবেই আমার লজ্জা লাগছে, না বুঝেই এক অকমর্ণ্য লোককে বিয়ে করেছিলাম।’ পাল্টা নিজের বাবা তথা কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্ট্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিয়ে তাঁর বড় ছেলে জানিয়েছেন, ‘বাড়ি কিনলেই তা ঘর হয় না, তার জন্য একটা পরিবেশ দরকার হয়। আমাকে এই বাড়ি থেকে সরাতে হলে আমি কিন্তু অনুরোধ করব না। আমার বাবা হওয়ার ধক থাকলে, আমার সামনে এসে দাঁড়াক। এই বাড়িতে আমি আমার অধিকারে থাকি। আইনি পথেই মোকাবিলা করব।’

যদিও গোটা বিষয়টি খুব শীঘ্রই আইনি যুদ্ধে পরিণত হতে চলেছে বলেই মনে করছেন শহরের আইনজীবী মহল। তাঁদের একাংশের দাবি, বেহালার বাড়ি শোভন তৈরি করেননি। সেটি তাঁর পৈতৃক বাড়ি। তাই সেখানে শুধু শোভনের নয়, তাঁর স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদেরও সমান অধিকার আছে। একমাত্র শোভন যদি উইল মারফত সেই বাড়ির মালিকানা সত্ত্ব পেয়ে থাকেন তবেই তিনি নিজেকে সেই বাড়ির একমাত্র মালিক হিসাবে দাবি করতে পারেন। কিন্তু তা যদি না হয়ে থাকে আর সেই বাড়িতে যদি তাঁর পরিবার বসবাস করে তাহলে পরিবারের কোনও সদস্যের অনুমতি ছাড়া তিনি সেই বাড়ি বিক্রি করতে পারেন না। কেননা পিতৃপুরুষের সম্পত্তিতে বা শ্বশুরের সম্পত্তিতে রত্না চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর দুই ছেলেমেয়ের সমান অধিকার আছে। তাই ব্যাপারটি আগামী দিনে আরও জটিল আকার ধারণ করবে বলেই জানা যাচ্ছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মঙ্গলবার বিকেলে ফের মেট্রো বিভ্রাটে চরম দুর্ভোগের শিকার যাত্রীরা

প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ভোটের স্পর্শকাতর কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ কমিশনের

পার্থর অফিসকে দলীয় প্রচারে কাজে লাগাচ্ছে না তৃণমূল

কলকাতার পারদ ছুঁতে পারে ৪১,দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের দাপট জারি থাকবে

দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কতা নিয়ে বৈঠকে মুখ্যসচিব

ভরা গ্রীষ্মের দুপুরে কোচ বিভ্রাটে ধাক্কা মেট্রোর পরিষেবায়

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর