এই মুহূর্তে




মালিক আমি, এবার বাড়ি ছাড়ুন! রত্নাকে বৈশাখী বার্তা




নিজস্ব প্রতিনিধি: এক ফুল দুই মালি হলে এমনিতেই মারামারি অবধারিত। কিন্তু এখানে দুই নারী হাতে তাঁদের তরবারি। দুইজনই মালির ওপর সজাগ দৃষ্টি রেখে চলেন। সেই দুই নারীর একজন অতীত, অন্যজন বর্তমান। সেই বর্তমানই এখন উঠেপড়ে লেগেছেন অতীতকে ধুয়ে মুছে সাফ করে দিতে। যদিও তা খুব সহজ হবে বলে মনে করছেন না আইনজীবীরা। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক বিগত কয়েক বছর ধরে শুধু শোভনবাবুর জীবনে ঝড় বয়ে আনেনি রাজ্য রাজনীতি ও সমাজজীবনেও বেশ প্রভাব ফেলেছে। সেই বৈশাখীই সম্প্রতি বিবাহবিচ্ছেদের পথে এগিয়েছেন তাঁর স্বামীর সঙ্গে। সেই সঙ্গে নিজমুখেই জানিয়েছেন, শোভনের সঙ্গে তাঁর বিয়ের পরিকল্পনা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবেন। বিয়ে হবে কী হবে না তা সময়ই বলবে। এখন তিনিই নতুন করে সংবাদের শিরোনামে চলে এলেন বেহালা পূর্বের বিধায়ক তথা শোভনের প্রথম স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে বাড়ি ছাড়ার হুমকি দিয়ে।

বেহালাতে থাকা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িটি তাঁর পৈতৃক বাড়ি। সেখানেই শোভন আগে সপরিবারে থাকতেন। কিন্তু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে তাঁর সংসারে অশান্তি শুরুর পর থেকেই তিনি সেই বাড়ি ছেড়ে গোলপার্কের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। পরে সেখানে মেয়েকে নিয়ে শোভনের সঙ্গে বৈশাখীও থাকতে শুরু করেন। রত্না অবশ্য শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে কোনওদিনই যাননি। ছেলেমেয়েকে নিয়ে বেহালার বাড়িতেই থাকেন তিনি। সেই বাড়িই এখন কোটি টাকায় বৈশাখীকে বিক্রি করে দিয়েছেন শোভন। এ বিষয়ে কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের দাবি, ‘রত্না সঙ্গে আইনি লড়াই চালাতে গিয়ে অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখে পড়তে হয়েছে। সেই সঙ্কট থেকে বাঁচতে বৈশাখীর সাহায্য নিতে হয়েছে। বৈশাখীর সেই আর্থিক সাহায্যের বদলে বাড়ি বিক্রি করেছি তাঁকে।’ আর বেহালার বাড়ির মালিকানা দাবি করে এবার বৈশাখী বার্তা দিয়েছেন রত্না চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ছেলেমেয়েকে। বলেছেন, ‘শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বেহালার বাড়ির মালিক এখন আমি। তাই এবার ওই বাড়ি ছাড়ুন রত্না।’ মায়ের সঙ্গ ছাড়লে বাড়িতে থাকতে পারেন শোভন-কন্যাও, তবে শোভন পুত্রকে বাড়ি ছাড়তে হবে আর তাঁর মায়ের সঙ্গেই থাকতে হবে, এমন বার্তাও নাকি বৈশাখী দিয়েছেন বলে দাবি রত্না ঘনিষ্ঠদের। তবে গোটা ঘটনা নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি রত্না চট্টোপাধ্যায়ের।

যদিও গোটা বিষয়টি খুব শীঘ্রই আইনি যুদ্ধে পরিণত হতে চলেছে বলেই মনে করছেন শহরের আইনজীবী মহল। তাঁদের একাংশের দাবি, বেহালার বাড়ি শোভন তৈরি করেননি। সেটি তাঁর পৈতৃক বাড়ি। তাই সেখানে শুধু শোভনের নয়, তাঁর স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদেরও সমান অধিকার আছে। একমাত্র শোভন যদি উইল মারফত সেই বাড়ির মালিকানা সত্ত্ব পেয়ে থাকেন তবেই তিনি নিজেকে সেই বাড়ির একমাত্র মালিক হিসাবে দাবি করতে পারেন। কিন্তু তা যদি না হয়ে থাকে আর সেই বাড়িতে যদি তাঁর পরিবার বসবার করে তাহলে পরিবারের কোনও সদস্যের অনুমতি ছাড়া তিনি সেই বাড়ি বিক্রি করতে পারেন না। কেননা পিতৃপুরুষের সম্পত্তিতে বা শ্বশুরের সম্পত্তিতে রত্না চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর দুই ছেলেমেয়ের সমান অধিকার আছে। শোভন এক্ষেত্রে চাইলেও তাঁদের সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারবেন না। আর সব থেকে বড় বিষয় রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে শোভনের এখনও বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। সেই মামলার নিষ্পত্তি এখনও হয়নি। কোনও রায়ও আসেনি। রত্না চান না তাঁর স্বামীকে ডিভোর্স দিতে। আর তিনি না চাইলে আদালতও তাঁকে জোর করে ডিভোর্স দিতে বাধ্য করতে পারে না। এমন অবস্থায় শোভন বাড়ি বিক্রি করে আদতে প্রমাণ করে দিলেন তিনি রত্না ও তাঁর দুই ছেলেমেয়েকে মানসিক নিপীড়ন করছেন। বধূ নির্যাতন করছেন। কার্যত গোটা বিষয়টি নিয়ে আদালতে ধাক্কা খেতে পারেন শোভন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বাংলায় নয়া চমক, যুবভারতী পেল আন্তর্জাতিক হকি ম্যাচের ছাড়পত্র

বিধানসভার অধিবেশনে নিস্ক্রিয় তৃণমূল বিধায়কদের তালিকা তৈরি হচ্ছে

ইতিহাস গড়ল প্রেসিডেন্সির দুই গবেষক, পাড়ি দিচ্ছেন কুমেরু মহাসাগরে

৪ লক্ষ টাকার বই কিনে নজর কাড়লেন চাকদহের শিক্ষক

নিউটাউনে নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগ, গ্রেফতার রিক্সা চালক

মাঘের শেষে হাওয়াবদল, ফের ঠান্ডার আমেজ ! বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে কী ?

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর