নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের বুকে আরও একটি মেডিকেল কলেজ(Medical College) চালু হতে চলেছে। আর সেটাও খাস কলকাতার(Kolkata) বুকে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে(Beleghata ID Hospital) এতদিন মেডিকেল কোর্স পড়ানোর কোনও ব্যবস্থা ছিল না। যদিও সেখানে নার্সিং এবং মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের বিভিন্ন পাঠ্যক্রম পড়ানো হতো। কিন্তু চিকিৎসক তৈরির কোনও কোর্স এখানে করানো হত না। কেননা সেই রকমের কোনও অনুমোদন এই সরকারি হাসপাতালের ছিল না। রাজ্য সরকার এই হাসপাতালের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে এখানে মেডিকেল কলেজ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই মতো ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশনের(NMC) কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল এই হাসপাতালে যাতে মেডিসিন ও মাইক্রোবায়োলজি, এই দুই বিভাগে পাঠ্যক্রম চালু করা যায়। সেই আর্জি গৃহীত হয়েছে। তবে আপাতত শুধুমাত্র মেডিসিন বিভাগে পাঠ্যক্রম(Medicin Course) চালুর অনুমোদন মিলেছে বলে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন বাংলার বুকে জাতীয় জল জীবন মিশন প্রকল্পেও নজরদারির ব্যবস্থা কেন্দ্রের
কোভিড কালে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল প্রথম থেকেই অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে। তার জেরে এই হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী নিজেরাও এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং অনেকে মারাও যান। তারপরেও অবশ্য এই হাসপাতালে কোভিডের চিকিৎসা চলেছে। সেই সময়েই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এই হাসপাতালে মেডিকেল পাঠ্যক্রম চালুর জন্য অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা ও শিক্ষায় দেশের শীর্ষ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছিল। সেই আর্জি সম্প্রতি গৃহীত হয়েছে। এই হাসপাতালে মেডিসিন ও মাইক্রোবায়োলজি, এই দুই বিভাগে ডিএনবি পাঠ্যক্রম যা এমডি’র সমতুল, তা চালুর জন্য আর্জি জানানো হয়েছিল ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশনের কাছে। তবে আপাতত শুধুমাত্র মেডিসিনের পাঠ্যক্রম চালুর জন্য অনুমোদন মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। আর তার জেরেই এই হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পেল।
আরও পড়ুন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের ভাবনা নবান্নের
মেডিসিন বিভাগে পাঠ্যক্রম চালু করার জন্য কমিশন শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দিয়েছে বলেই জানিয়েছেন হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ অমিতাভ চট্টোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, বেলাঘাটা আইডি হাসপাতালে এতদিন নার্সিং এবং মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের বিভিন্ন পাঠ্যক্রম পড়ানো হলেও কোনও ডাক্তারি পাঠ্যক্রম পড়ানো শুরু হয়নি। এই প্রথমবার সংক্রামক ব্যাধির রেফারেল হাসপাতাল হওয়ার পাশাপাশি সেখানে চিকিৎসা সংক্রান্ত পাঠ্যক্রমও চালু হতে চলেছে।