নিজস্ব প্রতিনিধি: ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। এবার অস্ত্র হাতে হাতে তুলে নিতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। লক্ষ্য দলের বিক্ষুব্ধদের বিদ্রোহে রাশ টানা। আর এই পদক্ষেপের পিছনে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও সঙ্ঘের। বঙ্গ বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই দলের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে শোকজ করা হচ্ছে জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তেওয়ারিকে। যদিও দুই নেতাই জানিয়েছেন, এই মর্মে কোনও চিঠি তাঁরা রবিবার সকাল পর্যন্ত হাতে পাননি। একই সঙ্গে এটাও জানা গিয়েছে শুধু এই দুজনই নয়, দলের বেশ কিছু বিধায়কের কাছেও যেতে পারে শোকজের চিঠি। সেই সঙ্গে শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধেও দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে কড়া রিপোর্ট পাঠিয়েছেন তাঁরা। যেহেতু শান্তনু সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্তড়ী তাই তাঁর বিরুদ্ধে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব কোনও পদক্ষেপ নিতে চাইছে না। পরিবর্তে সেই পদক্ষেপ নিতে পারে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সূত্রে জানা গিয়েছে সেক্ষেত্রে শান্তনুর ডানা ছাঁটার পাশাপাশি তাঁর মন্ত্রীত্বেও কোপ পড়তে পারে।
শোকজের খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন রীতেশ তেওয়ারি। তিনি জানিয়েছেন, ‘১৮ বছর বয়স থেকে বিজেপি করছি। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় ৩২ বছর এই দলের জন্য দিয়েছি। শোকজ করা হচ্ছে সেটা সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকেই জানতে পারলেম। দলের তরফে আমাকে এখনও কেউ কিছু জানায়নি। আমি এই রকম কিছু চিঠিও পায়নি। তবে দেখছে আমি হাতে চিঠি পাওয়ার আগেই খবর ছড়িয়ে গেল। আমার মনে হচ্ছে আমার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে এটা তারই একটা অংশ। ১ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে দলের উত্থানের আমি সাক্ষী। যদি চিঠি পাই দলের একজন অনুগত সৈনিক হিসেবে তার উপযুক্ত জবাব দেব।’ রীতেশ মুখ খুললেও জয়প্রকাশ মুজমদার এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানাতে চাননি। বঙ্গ বিজেপির সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারিকে শোকজ করে মূলত যেটা জানতে চাওয়া হবে যে কেন তাঁরা বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর বৈঠকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁদের এই পদক্ষেপ দলবিরোধী কাজ হিসাবেই দেখা হচ্ছে। এই দুই নেতাকে শোকজের চিঠি ধরিয়ে দলের তরফে বিক্ষুব্ধদের একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আর সেই বার্তা হল, দলের যত বড়ই নেতা হোন না কেন, দলীয় শৃঙ্খলা প্রত্যেককেই মেনে চলতে হবে এবং দলবিরোধী কাজ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।